দোয়ারাবাজার প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার অগ্রণী ব্যাংক শাখার ক্যাশ অফিসারসহ সংশ্লিষ্টদের খামখেয়ালিপনায় সাড়ে ৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারকচক্র। বুধবার বেলা ১১ টা থেকে একই হিসাব থেকে তিন দফায় চেক দিয়ে এই টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারকরা।
ব্যাকের কর্মকর্তারা জানান, গত ১৬ আগস্ট মো. ফারুক মিয়া, পিতার নাম কাদির মোল্লা, মাতা মেহেরজান, গ্রাম ভবানীপুর, ইউনিয়ন দোহালিয়া লিখা জাতীয় পরিচয়পত্র (নম্বর- ৯০১৩৩৩২২৮৫৬২৭) দিয়ে দোয়ারাবাজার অগ্রণী ব্যাংকে হিসাব খোলে এক প্রতারক। তার নমিনী দেয় একই গ্রামের মো. আরিফ মিয়াকে। তার জাতীয় পরিচয়পত্র (নম্বর ৯০১৩৩৩২২৮৫৬৩৫) সহ কাগজপত্র জমা দেয়। এই দুজনেই ভূয়া কাগজপত্র জমা দেয়। তাদের সনাক্ত করেন উপজেলার পা-ারগাঁও ইউনিয়নের হিম্মতেরগাঁওয়ের বয়োজ্যেষ্ট স্কুল শিক্ষক আরব আলী।
আরব আলী জানালেন, ফারুককে তিনি মুখচেনা চিনেন, ব্যাংকে বসা অবস্থায় তার সামনে কাগজ নিয়ে আসলে তিনি সরলভাবে স্বাক্ষর করে দেন।
হিসাব খোলার সময় এরা ৫ হাজার টাকা জমা দেয়। ১৭ তারিখ ঢাকা থেকে অনলাইনে আরও ১০ হাজার টাকা জমা দেয়। ২৪ আগস্ট ব্যাংকে এসে চেক বই উত্তোলন করে এবং ওইদিনই ১৩ হাজার টাকা উত্তোলন করে। বুধবার তিন দফায় তিনটি চেক দিয়ে সাড়ে ৮ লাখ উত্তোলন করে পালায় এই প্রতারকচক্র।
হিসাবে টাকা না থাকার পরও কীভাবে এতো টাকা উত্তোলন করলো এমন প্রশ্নের জবাব চাইতে ব্যাংকের ক্যাশ অফিসার বশির আলম’এর
কাছে জানতে চাওয়ার চেষ্টা করলে ব্যাংকের অন্য কর্মচারীরা জানান। ক্যাশ অফিসার অসুস্থ্য হয়ে পড়েছেন।
ব্যাংক ব্যবস্থাপক মো. জিয়াউল ইসলাম জানালেন, ব্যাংকের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সিলেট থেকে এসেছেন, ভিডিও ফুটেজ দেখে কীভাবে কী হয়েছে দেখে তারা আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।