ছাতক প্রতিনিধিঃ
ছাতকে জালিয়াত চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার রাতে ছাতক শহরের বাগবাড়ী স্কুল এলাকার একটি দোকান থেকে আফতাব উদ্দিন (২৬) নামের জালিয়াতকে আটক করা হয়। সে ছাতক সদর ইউনিয়নের রনমঙ্গল গ্রামের সিরাজ আলীর পুত্র। সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাপস শীলের নেতৃত্বে পুলিশ অভিযান চালিয়ে জালিয়াত চক্রের সদস্য আফতাব উদ্দিনকে গ্রেফতার করে। পরে তার স্বীকারোক্তিতে তাকে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তার হেফাজতে থাকা ব্যাংকের ১৫টি পাশ বহি, ১৭টি সাদা ষ্ট্যাম্প, অসংখ্য পর্চা, ভূমি অফিসের ৪টি ভলিয়ম ও ভূমি অফিসের কর্মকর্তাদের ৬টি সীল উদ্ধার করা হয়। এদিকে তার দেয়া তথ্যমতে শহরের ক্লাবরোড এলাকার একটি সীল তৈরির দোকান থেকে দুটি কম্পিউটার পিসিসহ ফয়সল আহমদ (২২) নামের একজনকে আটক করা হয়। এ দোকান থেকে ৩টি জাল মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট ও ৭টি সীল উদ্ধার করা হয়েছে। ফয়সল আহমদ উপজেলার উত্তর খুরমা ইউনিয়নের কা নপুর গ্রামের আরশ আলীর পুত্র। উদ্ধারকৃত সীলের মধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার ভূমি, সাবেক এসিল্যান্ড, সার্ভেয়ার, ইউপি সদস্যা, তসদিককৃত সীলসহ ভূমি অফিসের কর্মকর্তাদের সীল রয়েছে। জালিয়াত চক্রের সদস্য হিমাংশু দাস, আজব আলী, আব্দুল আজাদ, সিরাজ আলী, ইউপি সদস্য মুহিবুর রহমানসহ অন্যান্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ইয়াছিন আহমদ। রাতেই আটক দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ গোলাম কবির, সহকারী কমিশনার (ভুমি) তাপস শীল, ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ (ভারপ্রাপ্ত) মিজানুর রহমান। জিজ্ঞাসাবাদে জালিয়াতির ব্যাপক তথ্য বেরিয়ে এসেছে। জাল দলিল-পর্চা তৈরি করে সোনালী ব্যাংক ছাতক শাখা, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ছাতক শাখা থেকে দেড়শতাধিক লোকজন প্রায় কোটি টাকা ব্যাংক ঋন নিয়েছে। ঋন দেয়া-নেয়ায় এসব জাল সীল ও পর্চা ব্যবহার করা হয়েছে। এ চক্রের সাথে কৃষি ব্যাংক ছাতক শাখার দু’জন কর্মকর্তাও জড়িত রয়েছেন বলে জানা গেছে। এসব জাল-জালিয়াতির ঘটনায় জড়িত জালিয়াত চক্রের ১২জনের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার ছাতক থানায় একটি মামলা (নং২৬) দায়ের করেন ভূমি অফিসের নাজির মোহাম্মদ লাল মিয়া। ছাতক থানার সেকেন্ড অফিসার হাবিবুর রহমান পিপিএম মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।