বিশেষ প্রতিনিধি::
দেশের দুর্গম উপজেলা হিসেবে স্বীকৃত সুনামগঞ্জের হাওর উপজেলা শাল্লার একমাত্র উচ্চশিক্ষার সরকারি প্রতিষ্ঠান শাল্লা ডিগ্রি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি বাবত গলাকাটা চারগুণ ফি নেওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী।
বুধবার দুপুরে উপজেলা সদরের বাজারে তারা ঘন্টাব্যাপী মানবন্ধন কর্মসূচি পালন করে দুর্নীতিতে জড়িত চক্র ও অধ্যক্ষের অপসারণ দাবি করেন। একই সঙ্গে হাওরাঞ্চলের করোনায় বিপর্যস্ত দরিদ্র অভিভাবকের টাকা ফেরত দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। মানববন্ধনে রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, অভিভাবকবৃন্দ অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ২০২০-২০২১ শিক্ষা বর্ষে একাদশ শ্রেণিতে দুর্গম উপজেলা হিসেবে বোর্ড নির্ধারিত ফি ছিল ১ হাজার টাকা। কিন্তু শাল্লা ডিগ্রি কলেজ কর্তৃপক্ষ বরাবরের মতো এবারও দরিদ্র অভিভাবকদের পকেট কেটে একাদশে ভর্তি বাবত ৫ হাজার টাকা নিয়েছে। ভর্তি ফরম বাবতও রশিদবিহীন আরো ৩০০ টাকা করে নিয়েছে। করোনকালে সরকার ঘোষিত অনুন্নত ও পশ্চাদপদ উপজেলা থেকেও এভাবে গলাকাটা চারগুণ ফিস নিয়ে শুধু অমানবিক কাজই করেনি, অতীতের দুর্নীতিকেও সামনে নিয়ে এসেছে। বক্তারা দুর্নীতিবাজের লাগাম টেনে ধরার দাবি জানান।
মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য দেন, উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি বিশ্বজিৎ চৌধুরী নান্টু, বাহাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ফনি ভূষণ সরকার, যুবলীগ নেতা অজয় তালুকদার, শ্রমিক লীগ নেতা গনেন্দ্র সরকার, ছাত্র লীগ নেতা সুধাকর দাস, প্রভাংশু তালুকদার প্রমুখ।
উল্লেখ্য একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি বাবত ৫ হাজার টাকা নেওয়ার প্রতিবাদে জেলা প্রশাসক বরাবরে অভিযোগ করেছেন জনৈক অভিভাবক। তার আবেদনের প্রেক্ষিত সরেজমিন তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন