বিশেষ প্রতিনিধি::
নারী-শিশু নির্যাতন-ধর্ষণ বন্ধের দাবিতে এবং সীমান্তে মাদকবিরোধী সচেতনতার লক্ষ্যে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্তে শুরু হয়েছে ‘আদিবাসী ফুটবল টুর্নামেন্ট’। রবিবার বিকেলে তাহিরপুর উপজেলার উত্তরবড়দল ইউনিয়নের বড়গোপ গারো ফুটবল মাঠে এই টুর্নামেন্ট শুরু হয়। আগামী ৩ নভেম্বর টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম দিনের ফুটবল খেলাটি উপভোগ করেন সীমান্তের হাজারো ক্রিড়ামোদী মানুষজন। উল্লেখ্য প্রতিবছরই বড়গোপ গারো মাঠে মাদকবিরোধী সচেতনতার লক্ষ্যে সীমান্তে বসবাসকারী ক্ষুদ্র নৃতাত্বিক গোষ্ঠীর লোকজন ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করেন। এতে ক্ষুদ্র নৃতাত্বিক গোষ্ঠীর লোকজনসহ বাঙালিরাও মিলে-মিশে খেলাধুলা করেন।
রবিবার বিকেলে স্থানীয় কড়ইগড়া ও আনন্দপুরের মধ্যে খেলাটি অনুষ্ঠিত হয়। খেলাটি গোলশুন্য শেষ হয়েছে।
বিকেলে টুর্নামেন্ট উদ্বোধন করেন বৃহত্তর সিলেটের আদিবাসী নেতা শঙ্কর মারাক, জুয়েল মারাক সলোমার, এন্ড্রু সলোমার, ইউপি সদস্য সুষমা জাম্বিল, সুনীল দাজেল প্রমুখ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, পাঁচ দশকেরও বেশি সময় আগে সীমান্তের গারো আদিবাসীরা বড়গোপ জঙ্গল কেটে মাঠটি তৈরি করেছিলেন। সেই মাঠটি গারো মাঠ হিসেবে পরিচিত। এই গারো মাঠে আমরা নিয়মিত ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করে আসছি। বক্তারা বলেন, সময়ের পরিবর্তনে আমরা আদিবাসী বাঙ্গালি মিলে-মিশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে এখন খেলাধুল করছি। আমরা চাই সীমান্তে বসবাসীকারী তরুণরা মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামুক। মাদকের বদলে খেলাধুলার মাধ্যমে নিজেদের শারিরিক ও মানসিক বিকাশ ঘটাক। মাদকের বিরুদ্ধে, নারী ও শিশু ধর্ষণের বিরুদ্ধে তারা সোচ্চার হোক। বক্তারা বলেন, এই প্রতিপাদ্যে আমরা এবার ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন করেছি। টুর্নামেন্টটি সীমান্তে বসবাসকারী বাঙালি আদিবাসী সবাই উপভোগ করছেন। তারা আমাদের নারী নিপীড়ণ ও মাদকবিরোধী এই কর্মসূচির প্রতি সংহতি জানিয়েছেন।