1. haornews@gmail.com : admin :
  2. editor@haor24.net : Haor 24 : Haor 24
সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪২ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::

আশুরার বিলের বাঁধ বিরোধী আন্দোলন ।। পাভেল পার্থ

  • আপডেট টাইম :: সোমবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২০, ১০.৩৭ এএম
  • ২৭৫ বার পড়া হয়েছে

ফগা হাঁসদার কাছে বেশকিছুদিন সাঁওতালি বনবিদ্যা শিখতে গিয়েছিলাম। দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ ও বিরামপুরের শারশাবীরে আলোকধূতি গ্রামের বিখ্যাত কবিরাজ তিনি। ক্ষয়িষ্ণু শালবন ঘুরতে ঘুরতে ফগা হাঁসদাই আমাকে প্রথম চেনান দেশের এই আদি জলাভূমি ‘আশুরার বিল’। দেশের অন্যসব আদিবিলের মতোই কত কাহিনি আর আখ্যান জড়িয়ে আছে এই বিলের সাথে। ফগা হাঁসদা জানান, শৈশবে এই বিল ও আশেপাশের জংগল থেকে দাদুর সাথে কত ভেষজ লতাগুল্ম কুড়িয়েছেন। আজ যার কোনো চিহ্ন নেই। এত বড় বিল, একটি কাঁকড়াও দেখা যায় না। বাংলাদেশ জাতীয় তথ্যবাতায়ন জানায়,‘‘… দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ সদরের উত্তর-পশ্চিমে শালবন আর বনের উত্তর পাশ ঘেঁষেই আশুরার বিল। আয়তন ২৫১.৭৮ হেক্টর। বোরো মওসুমে স্থানীয় কৃষকেরা বিলে ধান আবাদ করে এবং প্রচুর ফলন পায়। আশুরার বিল মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লি. ২০১৩ সন পর্যন্ত বিল ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ছিল। সমিতি বিলে ২০ একরের মৎস্য অভয়াশ্রম তৈরি করেছে। বিলে প্রতিবছর মৎস্য অধিদপ্তর পোণা ছাড়ে এবং প্রতি দুই বছর পরপর রাক্ষুসে প্রজাতির মাছ ধরে। বিলটি ভরাট হয়ে যাওয়ায় এখন আর ৪/৫ মাসের বেশি মাছ ধরার সুযোগ থাকে না।’’ তো এই ঐতিহাসিক আশুরার বিল নিয়ে শুরু হয়েছে আরেক বিবাদ। করোনাকালে যেখানে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মানা জরুরি, দু:খজনকভাবে সেখানে আশুরার বিলের চারধারের কৃষক নারী-পুরুষেরা এক বাঁধবিরোধী আন্দোলনে সামিল হতে বাধ্য হয়েছেন। আশুরার বিলে সরকার এক বাঁধ দিয়েছেন, কিন্তু পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় সেখানে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়ে আশেপাশের কৃষিকাজ ব্যহত হয়। আবার বাঁধটি সংস্কার হবে, হয়তো আবারো তলিয়ে যাবে কৃষিজমিগুলো। এই আশংকায় কৃষকেরা একত্র হয়েছেন। অবস্থান কর্মসূচি ও অনশনের মাধ্যমে জনদাবি তুলে ধরছেন। একটানা কর্মসূচির কারণে অসুস্থ হয়েছেন অনেকে, করুণ মৃত্যু হয়েছে কৃষক গোলাপ সরকারের। কৃষিজমির সুরক্ষায় ‘জীবন নিলে নিয়ে নেন/আমাদের দাবী মেনে নেন/আশুরার বিলে ধান চাষ করতে দেন’ শ্লোগান দিতে বাধ্য হচ্ছেন আশুরার বিলের কৃষকেরা। বিল-জলাভূমি বনাম উন্নয়নের এই বিবাদ দীর্ঘদিনের। বিশেষ করে সারা দুনিয়ায় বৃহৎবাঁধের বিরুদ্ধে জনআন্দোলনের ইতিহাস সুপ্রাচীন। ফারাক্কা, নর্মদা থেকে শুরু করে টিপাইমুখ বাঁধ বিরোধী আন্দোলন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কৃষিজমি ও জলাভূমি সুরক্ষা করে উন্নয়নের ঘোষণা দিয়েছেন। কিন্তু সকল উন্নয়ন পরিকল্পনায় এই পরিবেশপ্রশ্নটি আড়াল হয়ে যায়। অপরিকল্পিত অবকাঠামো আর জনভোগান্তিই প্রকট হয়ে ওঠে। কৃষিজমি ও জলাভূমি সুরক্ষায় আমাদের উন্নয়নচিন্তায় আমূল পরিবর্তন জরুরি। প্রবল জনআন্দোরনের চাপে মুন্সীগঞ্জের আড়িয়ল বিলে বিমানবন্দর নির্মাণের সিদ্ধান্ত থেকে রাষ্ট্র সরে আসতে বাধ্য হয়েছিল। প্রতিদিন কমছে কৃষিজমি, প্রতিদিন উধাও হচ্ছে জলাভূমি। চলনবিলকে আমরা কেটে কেটে টুকরো টুকরো করেছি। গোপালগঞ্জের চান্দারবিল, টাঙ্গাইলের আসিল বিল, কুড়িগ্রামের তাগরাই বিল, বগুড়ার কেশপাথার বিল, গাজীপুরের বেলাই বিল, দক্ষিণের বিলডাকাতিয়া সবই আজ উন্নয়ন যন্ত্রণায় রক্তাক্ত। কিন্তু বিল আর জমিনের মজবুত সুরক্ষা ও জনসম্পর্ক ছাড়া কী বাংলাদেশের কৃষির বিকাশ সম্ভব? করোনাকালে এইসব মৌলিক প্রশ্নের সুরাহা জরুরি। অপরিকল্পিত কোনো অবকাঠামো ও উন্নয়নের চাবুকে ঐতিহাসিক আশুরার বিলকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলা অন্যায়। আশুরার বিলের বোরো মওসুমের ধানের উৎপাদন দিয়ে নাকি বাংলাদেশের আড়াই দিনের ভাতের জোগান হয়। আশুরার মাছ দেশের মৎস্যখাতকে মজবুত রাখছে। আশুরার বিলের বাঁধবিরোধী আন্দোলনের পাশে দাঁড়ানো জরুরি। ক্ষতিগ্রস্থ ও শংকিত কৃষকের কথা শোনা জরুরি। কৃষকের সম্মতি ও বিশ্লেষণে আশুরার বিলের সামগ্রিক উন্নয়নচিন্তা জোরালো করা দরকার। আর এভাবেই তো মহামারি সামাল দিয়ে দাঁড়াতে পারে এক নতুন বাংলাদেশ।
শালবনের এক আদি জলাভূমি
দিনাজপুর বনবিভাগের চরকাই রেঞ্জের চরকাই সদর বীটের অধীন ধানজুরী শালবন। নবাবগঞ্জ ও বিরামপুরে বিস্তৃত এমন আদি শালবনের সাঁওতালি নাম ‘শারশা বীর’। সাঁওতালি ভাষায় বীর মানে জংগল। শারশা বীরের এক অনন্য জলবাস্তসংস্থান হলো আশুরার বিল। অনেকে বলেন আসিলের বিল। স্থানীয় জনইতিহাস অনুযায়ী আশিটি ডাঢ়া/দাঁড় (জলের নালা) থেকে সৃষ্ট বলেই এর নাম ‘আশুরা’। সিঙ্গের ডাড়া, নাও ডাড়া, পানি ডাড়া, মাড়া ডাড়া, নেংটিহারা, কোদালকাটি, কুচনিরটেক, চেংমাড়ি ডাঢ়া গুলো বিখ্যাত। বিলের উত্তরে হরিপুর মৌজার গ্রাম, দক্ষিণে শালবন, পূর্বে ধূপঘাট ও ডাংগেরঘাট, পশ্চিমে পীরেরদগ, নাওডাঢ়া, পানির ডাঢ়া ও ধানজুরী বনবীট। আশুরার বিলের ধার ঘেঁষে অনেক ঐতিহাসিক, প্রতœতাত্ত্বিক ও স্মৃতিময় পবিত্রস্থল আছে। বুড়িরদও, কাচলাদও, মানিকদও, ধূপঘাট, মনিরথান, কালিরদও, টিপিরদও, পাইলাদও। শারশাবীরে সাঁওতালদের অনেক জাহেরথান (পবিত্র জংগল) আছে। আশুরারবিলের বুড়িমন্টপ এলাকা থেকে চৈত্রমাসেও পানি বের হতো, এখন বন্ধ হয়ে গেছে। সেইসব আদি ঝারণা (জলধারা) এখন নেই। আশুরা বিলে শোল, গজার, চিংড়ি, বোয়াল, পুঁটি, টেংরা, পিয়া, কাকলা, কৈ, গচি, শিং এখনো পাওয়া যায়। তবে বিলুপ্ত হয়েছে খড়িকাঠি ও তর মাছ। প্রবীণ সাঁওতালেরা জানান, অনেক আগে এই বিলের কালো কুচকুচে পানিতে তায়ান (কুমীর) দেখা যেত। ছিল ঢুকনো হড়ো ও কাঠ হড়ো নামের কচ্ছপ। আগের দিনে আশুরার বিলে কোনো আবাদ হতো না। আমন ও আউশ মওসুমে বিলের পাথারে আবাদ করতেন সাঁওতালেরা। পরবর্তীতে সেটেলার বাঙালিদের আগম ও বিল ভরাট হয়ে যাওয়ায় আশুরার বিলে ধানের আবাদ শুরু হয় এবং চলতি সময়ে বোরো মওসুমে এখানে ব্যাপক চাষ হয়।
বাঁধবিরোধী আন্দোলন
আন্দোলনকারী কৃষকদের দাবি সরকার অপরিকল্পিতভাবে বাঁধ নির্মাণ করায় প্রায় ১৯০০ হেক্টর কৃষিজমি জলাবদ্ধ হয়ে যায়। এই জমির ৯ ভাগের এক ভাগ মাত্র সরকারি জমি, বাকি জমি ব্যক্তিমালিকাধীন। ৪,৬৯৫ একর জমির ভেতর ৫৮৮ একর সরকারি খাস। বাঁধ নির্মাণের কারণে জলাবদ্ধ জমিনে কৃষিকাজ ব্যহত হচ্ছে। বাঁধটি নির্মাণের পর জলাবদ্ধতা তৈরি হওয়ায় স্থানীয় কৃষকেরা বাঁধটি খুলে দেয়ার দাবি জানান। চলতি বর্ষায় বাঁধটি একবছরেই ভেঙে পড়েছে। জানা যায়, প্রশাসন আবারো বাঁধ সংস্কারে উদ্যোগ নিয়েছে। স্লুইসগেট বা পানি নিষ্কাশনের জন্য কোনো সুব্যবস্থা না রেখে আবারো বাঁধটি আগের মতো চালু হলে আবারো জলাবদ্ধ হয়ে যেতে পারে ৪ হাজার ১১০ একর ব্যক্তিগত কৃষিজমি। কৃষিজমি সুরক্ষায় তাই এই বাঁধবিরোধী আন্দোলন। আশুরার বিলের আবাদি জমি রক্ষা ও বিলে বাঁধ নির্মাণের প্রতিবাদে আশেপাশের কৃষকরা ৩০ অক্টোবর থেকে আন্দোলনে নামে। টানা আট দিন ‘অনশন’ ও অবস্থান কর্মসূচির একপর্যায়ে ৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় অসুস্থ হয়ে পড়েন নবাবগঞ্জ উপজেলার গোলাপগঞ্জ ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের প্রবীণ কৃষক গোলাপ সরকার (৭৫)। বাড়ি নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। অনশনের কারণে অসুস্থ হয়েছেন গফুর আলী, সাদেক আলী, সিরাজুল ইসলাম, আইজুল ইসলাম ও দিলবর আলী।
বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির দূষণ
কেবল অপরিকল্পিত অবকাঠামোগত উন্নয়ন, ভরাট বা বেদখল নয়; আশুরার বিল বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির কারণেও প্রতিদিন কাতরাচ্ছে। আশুরার বিল থেকে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির দূরত্ব প্রায় ৩০ কি.মি.। বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির বর্জ্যপানি এখন এই বিলে মেশে। ধীরে ধীরে এখানকার পানি দূষিত হতে শুরু করে এবং অগ্রহায়ণ থেকে মাঘ পর্যন্ত পানির দূষণ বেশি হয়। কয়লাখনির দূষণের ফলে গোলাপগঞ্জ ইউনিয়নের রঘুনাথপুর, পাদমপুর, বস্তাপাড়া, হরিপুর এবং বিনায়েতনগর ইউনিয়নের নন্দনপুর, চেরাগপুর ও আমবাহাদুরপুর গ্রামের মানুষ দুর্বিষহ যন্ত্রণা পাড়ি দিচ্ছে। আশুরারবিলের পীররেদও এলাকায় বৈশাখ মাসে মানুষের মেলা বসে। প্রতি রবি ও বৃহস্পতিবার সব ধর্ম ও গোষ্ঠীর মানুষ নিজেদের মানত নিয়ে এখানে আসে। আগেরদিনে বিলের পানি দিয়ে মানুষ জিয়াফতের বাসনপত্র ধুতে পারত, পানি খাওয়াও যেত। কিন্তু এখন দূষিত পানি শরীর চুলকায়।
একজন গোলাপ সরকার
উন্নয়ন বাহাদুরির চাপে যখনই কোনো নদী বা জলপ্রবাহ বাধাগ্রস্থ হয়েছে তখনি মানুষ গর্জে ওঠেছে। বাংলাদেশের মানুষের নদ-নদী, বিল, হাওর, পুকুর, খাঁড়ি, বাওর, দীঘি, ঝর্ণা, ঝিরি, ছড়া, সমুদ্র সুরক্ষার লড়াইয়ের ইতিহাস বেশ প্রাচীন। প্রতিনিয়ত দেশের নানাস্থানে প্রতিদিন মানুষ নিজস্ব জলধারা বাঁচাতে আন্দোলন করে যাচ্ছে। উজানে যখনই অভিন্ন নদীতে বাঁধ দেয়া হয়েছে ভাটির বাংলাদেশ তখনই ঐক্যব্ধভাবে এর প্রতিবাদ করেছে। এমনকি দেশের অভ্যন্তরেও জলপ্রবাহ বাঁচাতে আন্দোলন অব্যাহত থেকেছে। ফারাক্কা বাঁধের বিরুদ্ধে পদ্মার প্রবাহ বাঁচাতে বাংলাদেশ যে দীর্ঘ গণপদযাত্রা করেছে তা দুনিয়ায় নদী বাঁচানোর প্রথম দীর্ঘ গণমানুষের মিছিল। সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চলে গড়ে ওঠা ভাসান পানির আন্দোলন পৃথিবীর প্রথম মুক্ত পানিতে জনগণের সর্বজনীন অধিকারের সংগ্রাম। মৌলভীবাজারের মাধবকুন্ড জলপ্রপাত ইকোপার্কের নামে ইজারা দেয়ার বিরুদ্ধে আদিবাসী খাসি ও মান্দি জনগণের আন্দোলন বেশ গুরুত্বপূর্ণ পানিফলক। তিস্তার পানির ন্যায্যহিস্যা নিয়ে বাংলাদেশ এখনও লড়ছে। টিপাইমুখ বাঁধের বিরুদ্ধে গণদ্রোহ অব্যাহত রেখেছে। কাপ্তাই বাঁধের বিরুদ্ধে সংগঠিত হয়েছে দীর্ঘ পাহাড়ি সংগ্রাম। প্রতিনিয়ত বিল ও মুক্তজলাশয়ে জেলে ও গরিব মানুষের প্রথাগত অধিকারের দাবিতে দেশের নানাপ্রান্তে আন্দোলন অব্যাহত আছে। নদী বাঁচানোর এ লড়াইয়ে মানুষ জান দিয়েছে, জেলজুলুম খেটেছে, মামলা মোকদ্দমার অন্ত নাই। কিন্তু মানুষ থামেনি। মানুষ লড়ছে, নদীর মুক্ত প্রবাহের দাবিতে। সর্বত্র। তিস্তা বাঁচাও আন্দোলন, বুড়িগঙ্গা বাঁচাও আন্দোলন, বড়াল নদী রক্ষা আন্দোলন, কপোতাক্ষ বাঁচাও আন্দোলন, গোমতী রক্ষা আন্দোলন, যমুনা বাঁচাও আন্দোলন, ভবদহ আন্দোলন, বিল ডাকাতিয়া আন্দোলন গুলো সমসাময়িককালে কেবলমাত্র পরিবেশ রক্ষা আন্দোলন হিসেবেই চিহ্নিত হয়ে থাকেনি। হয়ে ওঠেছে জীবন ও জীবিকা বিকাশের মৌলিকচিন্তার দলিল। সিলেটের জকিগঞ্জ সীমান্ত ঘেঁষে কুশিয়ারা নদীতে তৈরী করা হয়েছিল সরকারী প্রকল্পের বাঁধ এর ফলে জকিগঞ্জ থানার বিরশ্রী ইউনিয়নের কিছু কৃষকেরা সেচের জন্য পানি পেলেও বরহল ইউনিয়নের মানুষের জমি প্রতিবছর বন্যায় তলিয়ে যেত। বরাক নদী থেকে নেমে আসা বালি ও পলিতে কৃষি জমি গুলো ভরে যায়। বাধ্য হয়ে বরহল ইউনিয়নের নারী পুরুষ সর্বনাশা এই বাঁধের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে শুরু করেন। ২৬ জুলাই ১৯৯৩ সালে বরহল ইউনিযনের হাজার হাজার নারী পুরুষ প্রতিবাদ সমাবেশ করেন সীমান্তবর্তী বাঁধ এলাকায়। সীমান্তরক্ষীর গুলিতে শহীদ হন চারজন গ্রামবাসী, আহত হন প্রায় ৫০এরও বেশী মানুষ। আবারো আশুরার বিলে বাঁধের বিরুদ্ধে কৃষিজমি সুরক্ষায় প্রাণ দিলেন দিনাজপুরের গোলাপ সরকার। গোলাপ সরকারের এই পরিবেশচিন্তার মৃত্যু নেই। বাঁধবিরোধী মনস্তত্ত্বের ক্ষয় নেই। গোলাপ সরকারের আওয়াজ আমাদের বোঝা জরুরি। উন্নয়নের বাহাদুরিকে প্রশ্ন করা জরুরি। আশুরার বিলের কৃষকের ন্যায্য দাবি এবং প্রাণ-প্রকৃতি সুরক্ষায় দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়া দরকার।

লেখক ও গবেষক। ই-মেইল: animistbangla@gmail.com

Print Friendly, PDF & Email

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
themesbazarhaor24net
© All rights reserved © 2019-2024 haor24.net
Theme Download From ThemesBazar.Com
error: Content is protected !!