স্টাফ রিপোর্টার ::
বেতন বৈষম্য নিরসনের দাবিতে স্বাস্থ্য কর্মীদের কেন্দ্রীয় সংগঠনের কর্মসূচি অনুযায়ী সারাদেশের মতো বিশ^ম্ভরপুরেও কর্মবিরতি পালন করছে স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য সহকারীরা।
(২৬ নভেম্বর) সকাল থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গেইটে এ কর্মবিরতি পালন করেন। উপজলার স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য সহকারীরা কর্মবিরতিতে উপস্থিত ছিলেন। শনিবার উপজেলা হাসপাতাল গেইটে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশন বিশ^ম্ভরপুর উপজেলা দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ বিশ^ম্ভরপুর উপজেলা কমিটির আহব্বায়ক কাজল বরণ চৌধুরী, যুগ্ম আহব্বায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক, সদস্য সচিব শওকত হোসাইন, স্বাস্থ্য সহকারী সেলিম আহমদ প্রমুখ, বক্তারা বলেন তৃণমূল স্বাস্থ্য সহকারীদের কাজের অর্জনেই আজ বাংলাদেশ টিকাদানে বিশ্বের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে এবং সরকার প্রধান পেয়েছে সাতটি সম্মাননা পুরস্কার।সম্প্রতি আন্তর্জাতিক সংস্থ্যা গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাসিনেশন অ্যান্ড ইমুনাইজেশন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভ্যাকসিন হিরো উপাধিতে ভূষিত করেন। এসব সম্মাননা অর্জনে মূল ভুমিকা পালন করেন স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য সহকারীরা।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৮ সালের ৬ ডিসেম্বর স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য সহকারীদের এক মহাসমাবেশে আমাদের বেতন বৈষম্য নিরসনের ঘোষণা দিয়েছিলেন। ২০১৮ সালের ২ জানুয়ারি তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী আমাদের দাবি মেনে নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য একটি কমিটি গঠন করে দেন। এছাড়া চলতি বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি আমরা হাম-ইবোলা ক্যাম্পেইন বর্জন করলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী, স্বাস্থ্য সচিব ও মহাপরিচালক আমাদের দাবিসমূহ মেনে নিয়ে আমাদের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে যে লিখিত সমঝোতা চিঠিতে স্বাক্ষর করেন। আমরা এসব প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন চাই।দাবি পূরণে কেন্দ্রীয় কর্মসূচি পালন করে যাব। প্রজ্ঞাপন না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে।