অনলাইন ডেক্স::
তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানকে এবার একহাত নিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী তুরস্কের ধর্মীয় নেতা ফেতুল্লা গুলেন। তাঁর দাবি, তুরস্কে অভ্যুত্থানচেষ্টার পেছনে এরদোয়ান নিজেই রয়েছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, গতকাল রোববার এমন দাবি করেন গুলেন।
তুরস্কে গত শুক্রবার রাতের সেনা অভ্যুত্থানচেষ্টার জন্য গুলেনকে দায়ী করেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান ও প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম।
অভিযোগের পুনরাবৃত্তি করে হিজমত নামের একটি আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত গুলেনকে তুরস্কে ফেরত পাঠানোরও দাবি করেন এরদোয়ান।
গুলেন ও তাঁর সমর্থক যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংগঠন এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তিনি অভ্যুত্থানচেষ্টার নিন্দাও করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের একটি ছোট শহরে বাসরত গুলেন এক অনুবাদকের মাধ্যমে সাংবাদিকদের বলেন, প্রত্যর্পণের অনুরোধের বিষয়ে সত্যিকার অর্থেই চিন্তিত নন তিনি। যুক্তরাষ্ট্র যদি তাঁকে প্রত্যর্পণের ব্যাপারে কোনো আদেশ দেয়, তবে তিনি তা মেনে নেবেন।
একই সঙ্গে গুলেনের দাবি, প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানই অভ্যুত্থান সাজিয়েছেন।
তুরস্ক জানিয়েছে, গুলেনকে প্রত্যর্পণের জন্য তারা আনুষ্ঠানিক অনুরোধ জানাবে।
যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, কোনো আনুষ্ঠানিক অনুরোধ পেলে তারা তা বিবেচনা করবে।
এরদোয়ানের একসময়ের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ফেতুল্লা গুলেন একজন ইসলামপ্রচারক। তিনি এখন থাকেন যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের পোকোনো পার্বত্য এলাকার একটি ছোট শহরে। ১৯৯৯ সাল থেকে তিনি সেখানে আছেন। নিজ দেশ তুরস্কে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ ওঠার পর থেকেই তাঁর যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস।
সাম্প্রতিক সময়ে হিজমত নামে পরিচিত গুলেন সমর্থকদের আন্দোলন তুরস্কে বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠায় এরদোয়ান ও গুলেনের সম্পর্কের অবনতি ঘটে। তুরস্কের গণমাধ্যম, পুলিশ ও বিচার বিভাগে এ আন্দোলন জনপ্রিয়তা পেয়েছে। আর এ বিষয় নিয়েই একসময়ের সহযোগী গুলেন পরিণত হয়েছেন এরদোয়ানের শত্রুতে।