হাওর ডেস্ক::
বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনার মধ্য দিয়ে সিলেটে শেষ হয়েছে প্রথম ধাপের পৌরসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। বিভাগের ৩টি পৌরসভায় সোমবার সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। শেষ হয় বিকেল ৪টায়।
সিলেটে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়া পৌরসভাগুলো হচ্ছে- মৌলভীবাজারের বড়লেখা, সুনামগঞ্জের দিরাই ও হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ।
জানা গেছে, ভোটগ্রহণ শুরুর প্রথম দিকে ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে ভোটার। সারাদিন উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটাধিকার প্রদান করেন ভোটাররা।
এবারই প্রথমবারের মতো পৌরসভা নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ভোটাররা যেমন নতুন উদ্দীপনায় ভোট দিয়েছেন তেমনি অনেক স্থানে এই মেশিনে ভোট দিতে গিয়ে বিপাকে পড়েন ভোটাররা।
পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকায় বিষয়টি বুঝে উঠতে না পেরে অনেকেই ভোট দিতে অধিক সময় নিয়েছেন। এতে বাইরে লাইনে অপেক্ষা করে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে বাকি ভোটারদের। আবার অনেক কেন্দ্রে আঙুলের ছাপ না মেলাতেও বিপাকে পড়েন ভোটাররা।
সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা পৌরসভায় ১০টি কেন্দ্রের ৪৩টি ভোটকক্ষে (বুথের) ভোটগ্রহণ হয়। সোমবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয় ভোটগ্রহণ, একটানা চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
বড়লেখা পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে ৩ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৬ জন ও নারী কাউন্সিলর পদে ১১ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনে মেয়র পদে লড়েন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবুল ইমাম মো. কামরান চৌধুরী (নৌকা), বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আনোয়ারুল ইসলাম (ধানের শীষ), স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইদুল ইসলাম (মোবাইল ফোন)।
অপরদিকে, সুনামগঞ্জের দিরাইয়েও সকাল ৮ টা থেকে যথারীতি ভোটগ্রহণ শুরু হয়, চলে বিকাল চারটা পর্যন্ত। ইভিএম-এর মাধ্যমে চলে ভোট গ্রহণ।
দিরাইয়ে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটসহ ৯ জন ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্বে ছিলেন। মোতায়েন করা হয় দুই প্লাটুন বিজিবি। তাছাড়া প্রতি কেন্দ্রে ১০ জন পুলিশসহ ১৪ জন আনসার নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন। এছাড়াও ভোট চলাকালীন টহল দেয় পুলিশের ৬টি মোবাইল টিম।