শাল্লা প্রতিনিধি::
জেলা প্রশাসক আব্দুল আহাদ বলেছেন আজকে আমি শাল্লায় ঘুরে ঘুরে দেখেছি এখানে আরো ৩ থেকে ৪হাজার ঘরের প্রয়োজন রয়েছে। আমাদের সকলের একমাত্র আস্তা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সবচেয়ে আশার কথা হলো- অন্যান্য জেলায় মুজিববর্ষে ৭শ’ থেকে সাড়ে ৭শ’ ঘর বরাদ্দ হলেও, আপনাদের উপজেলায় মাত্র ৪টি ইউনিয়নেই ১৫৮১টি ঘরের বরাদ্দ দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। ঘর পাওয়ার জন্য কোনো টাকা লাগেনা। এধরণের অনিয়ম যাতে না হয়, সেদিকে সবাই সতর্ক থাকবেন। আমার বারবার শাল্লায় আসার কারণ হলো আমিও মাটি থেকে উঠে এসেছি, আমিও কৃষকের সন্তান। আমি যে স্কুলে লেখাপড়া করেছি, সে স্কুলের দরজা-জানালাও ভাঙা ছিলো। স্বাভাবিকভাবেই আমি আজকের এই অবস্থানে উঠেছি।
২৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে প্রতিবন্ধীদের মাঝে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মুক্তাদির হোসেনের সঞ্চালনায় এসময় আরো বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা জগদীশ সরকার, অনীল চন্দ্র দাস ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ফজলুল করিম প্রমুখ। পরে প্রতিবন্ধীদের এনজিও সংস্থা আশার পক্ষ থেকে ২শ’ কম্বল বিতরণ করেন তিনি। অনুষ্ঠানে উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। এসময় উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পদলিজনীত সম্মাননা স্মারক তোলে দেওয়া হয়। এরপূর্বে জেলা প্রশাসক হবিবপুর ইউপির নারকিলা ও শাল্লা ইউপির মুজিবনগরসহ বাহাড়া ইউপির বিভিন্ন গ্রাম পরিদর্শন করেন। পাশাপাশি দরিদ্র মানুষের খোঁজ খবর নেন তিনি। উল্লেখ্য, মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে উপজেলার ভূমিহীন ও গৃহহীন ‘ক’ শ্রেণির পরিবার পুনর্বাসনের লক্ষ্য ‘বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য ২শতাংশ খাস জমি বন্দোবস্ত প্রধান পূর্বক ১লাখ ৭১ হাজার টাকায় ২কক্ষ বিশিষ্ট রান্নাঘর, সংযুক্ত টয়লেট ও ইউলিটি স্পেসসহ ঘর নির্মাণ করা হবে। জেলা প্রশাসক আব্দুল আহাদ পরিদর্শনকালে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।