স্টাফ রিপোর্টার::
বিশিষ্ট নির্মাতা, নাট্যকার, লেখক শাকুর মজিদ বলেছেন, জমিদার হাছন রাজার মৃত্যুর পর মরমি হাছন রাজারও মৃত্যু হয়েছিল। মৃত্যুর তিনযুগ পর মরমি হাছন রাজার পুনর্জম্ম হয়। আমার গবেষণায় মনে হয়েছে অগাধ সম্পত্তির কারণেই এটা হয়েছে। সম্পত্তি কিভাবে আতœীয়তার বন্দন ও পরিবারকে বিচ্ছিন্ন করে হাছন রাজা তার উদাহরণ।
শনিবার রাতে সুনামগঞ্জ শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাঠাগারে অনুষ্ঠিত জেলার প্রগতিশীল লেখক, রাজনীতিবিদ, সংস্কৃতিকর্মীসহ সুধীজনের সঙ্গে এক আড্ডায় এসব কথা বলেন।
শাকুর মজিদ আনন্দ আড্ডায় বলেন, এই শহরে এসে আমার মনে হয়েছে হাছন রাজাকে যতেœর সঙ্গে উপস্থাপনা করা হচ্ছেনা। এই শহরে হাছন রাজার কোন ব্রান্ডিং নেই। অথচ এই মরমি সাধককে ব্রান্ডিং করে এই শহর একটি উন্নতর শহরে রূপান্তরিত হতে পারতো। পর্যটকদেরও আকৃষ্ট করা যেতো।
সুনামগঞ্জের মরমি সাধকের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, পরিবেশ, প্রকৃতি ও হাওর বাওর এই অঞ্চলকে অনন্য বৈশিষ্ট দিয়েছে। যে কারণে সারা দেশের ৭০ ভাগ মরমি সাধক এখানে জন্ম নিয়েছেন। আর বাকি ১০ ভাগ দেশের অন্যত্র। তিনি এই অঞ্চলের মরমি মাহজনদের যতেœর সঙ্গে উপস্থাপনার জন্য সুধীজনদের অনুরোধ জানান।
কবি ও সাংবাদিক শামস শামীমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আনন্দ আড্ডায় বক্তব্য রাখেন জেলা জাসদের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আতম সালেহ, লেখক সুখেন্দু সেন, কবি ও লেখক ইকবাল কাগজী, শহীদ জগৎজ্যোতি পাঠাগারের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সালেহ আহমদ।
আনন্দ আড্ডায় উপস্থিত ছিলেন নুপেশ তালুকদার নানু, কমরেড রমেন্দ্র কুমার দে মিন্টু, মুক্তিযোদ্ধা আবু সুফিয়ান, সুনামকণ্ঠের সম্পাদক ও প্রকাশক বিজন সেন রায়, ক্রিড়া সংগঠক পারভেজ আহমদ চৌধুরী, সাংবাদিক লতিফুর রহমান রাজু, প্রভাষক শাহ আবু নাসের, অ্যাডভোকেট রুহুল তুহিন, অ্যাডভোকেট কল্লোল তালুকদার চপল, সংস্কৃতি সংগঠক জাহাঙ্গীর আলম, প্রকাশক রাজীব চৌধুরী প্রমুখ।
আড্ডায় তিনি মরমি সাধক হাছন রাজাকে নিয়ে নির্মিত নাটক ‘হাছন জানের কথা’ প্রসঙ্গেও কথা বলেন। হাছন রাজার জীবন দর্শন নিয়ে এই নাটক নির্মাণ করেছেন তিনি। তাছাড়া হাছন রাজার জীবনী নিয়ে উপন্যাস লেখছেন বলেও সুধীজনকে জানান।