বিশেষ প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে চলন্ত বাসে কলেজ ছাত্রী ধর্ষণ চেষ্টা ঘটনার প্রধান আসামি বাসচালক শহিদ মিয়াকে গ্রেপ্তারের পর তিনদিনের রিমা- মঞ্জুর করেছে পুলিশ। পুলিশ শহিদ মিয়াকে ৫ দিনের রিমা- আবেদন জানালে সুনামগঞ্জের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাগীব নূর সোমবার দুপুরে শুনানী শেষে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক। গত ২ জানুয়ারি ভোরে সুনামগঞ্জ বাসস্টেশন থেকে শহিদ মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন সিআইডি ঢাকা অফিসে গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে সিআইডি। এর আগে ২৮ ডিসেম্বর ভোররাতে ছাতকের বুরাইরগাও থেকে বাসের হেলপার রশিদ আহমদকে গ্রেপ্তার করেছিল পিবিআই পুলিশ।
গত ২৬ ডিসেম্বর শনিবার বিকালে সিলেটের লামাকাজী থেকে দিরাইয়ে যাচ্ছিলেন ওই কলেজ ছাত্রী। দিরাই পৌরসভার সুজানগর গ্রামের পাশে এসে যাত্রীবাহী বাসের সব যাত্রী নেমে গেলে একা হয়ে যান ওই ছাত্রী। এসময় চালক ও হেলপার কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। সম্ভ্রম বাঁচাতে ওই ছাত্রী চলন্ত বাস থেকেই লাফিয়ে পড়েন। স্থানীয়রা তাকে সড়কের পাশ থেকে আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে উদ্ধার করে দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমেপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এদিকে গ্রেপ্তারকৃত চালক ও হেলপারকে চিহ্নিত করেছেন ভুক্তভোগী ছাত্রী। সিআইডি জানিয়েছে ওই ছাত্রীকে চালক শহিদ, হেলপার রশিদ ও বক্কর মিলে গণধর্ষণ করার চেষ্টা করেছিল। ঘটনার দিন বাস ফেলে রেখেই জনতার রোষে পালিয়ে গিয়েছিল চালক, হেলপার।
এঘটনায় ক্ষুব্দ এলাকাবাসী দিরাই থানা এলাকায় ওই দিন রাতেই বিক্ষোভ করেন। রাতেই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে বাসের চালক শহীদ মিয়া ও হেলপার রশিদ আহমদসহ তিনজনকে আসামি করে দিরাই থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন। গত বৃহষ্পতিবারে ওই ছাত্রীও আদালতে ঘটনার জবানবন্দি দিয়েছেন। ২৯ ডিসেম্বর হেলপার রশিদ আহমদও ঘটনায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
সুনামগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. আশেক সুজা মামুন বলেন, বাস চালক শহিদ মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে আদালত তিন দিনের রিমা- মঞ্জুর করেছেন। এরপর আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।