হাওর ডেস্ক::
যুক্তরাজ্যের পোর্টসমাউথে বসবাসকারী ৩১ বছর বয়সী এক বাংলাদেশি নাগরিককে ৬ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ২০২০ সালের ২৯ আগস্ট স্থানীয় সময় রাত দশটার দিকে ক্লেরেডন রোডে ১৯ বছরের এক তরুণীকে ধর্ষণ করেন মুহিব উদ্দিন নামের ওই ব্যক্তি।
ব্রিটেনের হ্যাম্পশায়ার পুলিশ তাদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, ওই তরুণী মুহিব উদ্দিনকে চিনতেন না।
আদালত জানিয়েছেন, মুহিবকে ব্রিটেনে আজীবনের জন্য ‘যৌন অপরাধী’ হিসেবে চিহ্নিত করা হবে।
পুলিশ বলছে, জটিল এই মামলার তদন্তের পর গত বছর ১০ নভেম্বর মুহিবকে অভিযুক্ত করা হয়। বুধবার (১৩ জানুয়ারি) তাকে ছয় বছরের জেল দেয়া হয়েছে।
গোয়েন্দা পরিদর্শক এমা ক্রুটে এই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেছেন, ‘ভুক্তভোগী ন্যায় বিচার পেয়েছেন। মুহিব উদ্দিনকে এখন জেলে থাকতে হবে।’
‘আমি মনে করি এই মামলা সাধারণ মানুষের জন্য এমন একটা উদাহরণ, যাতে তারা বুঝতে পারবেন এসব অভিযোগ আমরা কতটা গুরুত্বের সঙ্গে নেই। অভিযুক্তকে সাজা দিতে আমরা সবকিছু করেছি।’
পুলিশের ওয়েবসাইটের পাশাপাশি বিবিসিতেও মুহিবের সাজার খবর এসেছে। ওয়েবসাইট দুটিতে তার বাংলাদেশি পরিচয়ের বিষয়ে কোনো তথ্য উল্লেখ নেই।
তবে পোর্টসমাউথের স্থানীয় গণমাধ্যম দ্য নিউজে বলা হয়েছে, মুহিব ২০১৬ সালে বাংলাদেশ থেকে ব্রিটেনে যান। তার আইনজীবীর দাবি, ব্রিটেন কিংবা বাংলাদেশে মুহিবের নামে আগে কোনো মামলা নেই। আদালতের কাছে মুহিবকে ‘সীমিত বুদ্ধিবৃত্তিক ক্ষমতার মানুষ’ বলে পরিচয় করিয়েছেন ওই আইনজীবী। কিন্তু আদালত সেটি আমলে নেননি।
সাজা ঘোষণার দিন ভুক্তভোগী ওই তরুণী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আদালত তার পর্যবেক্ষণে বলেছেন, রেস্টুরেন্ট কর্মী মুহিব পরিকল্পিতভাবে তরুণীকে ধর্ষণ করেছেন।
মেয়েটি রেস্টুরেন্টের পেছনের গলিতে বসা ছিলেন। মুহিব পেছন থেকে তাকে আক্রমণ করেন। ধস্তাধস্তি করে একপর্যায়ে তাকে সিসিটিভি ক্যামেরার দৃষ্টিসীমার বাইরে নিয়ে যান।
রায় ঘোষণার দিন এক সন্তানের জনক মুহিব মাস্ক খুলে বলতে থাকেন, ‘আমি সত্যি খুব দুঃখিত, খুব দুঃখিত।’
(সিলেট মিরর)