বিশেষ প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জে এতিম কিশোরী তালতো বোনকে দিনের পর দিন ধর্ষণ করে অন্তঃস্বত্ত্বা করেছে কোরআনে হাফিজ মাওলানা ও মাদরাসা শিক্ষক। এ ঘটনায় বাহুবল মাদরাসা ওই শিক্ষক হাফিজ মাওলানা সোলেমান আলী (২৬) কে বুধবার বিকেলে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এতিম কন্যার সঙ্গে মাদরাসা শিক্ষকের এমন জঘন্য কাজে ক্ষুব্দ হয়ে ওঠছেন এলাকাবাসী। তারা তার কঠোর বিচার দাবি করেছেন। ওই কিশোরী বর্তমানে তিন মাসের অন্তস্বত্তা।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে ছাতকের কালারুকা ইউনিয়নের মাধবপুর গ্রামের ১৩ বছরের এতিম কিশোরীর মা ও বাবা নেই। এক ভাই প্রতিবন্ধী। মেয়েটি অধিকাংশ সময় জাতুয়া গ্রামে তার বোনের বাড়ি থাকে। এই সুযোগে তার বোনের দেবর জাতুয়া গ্রামের ক্বারী মাওলানা আফতাব উদ্দিনের ছেলে ও বাহুবল মাদরাসার শিক্ষক হাফিজ মাওলানা সোলেমান আলীর কুনজর পড়ে। কিশোরি মেয়েটিকে ফুসলিয়ে তার ইচ্ছের বিরুদ্ধে দিনের পর দিন ধর্ষণ করে সোলেমান। এ ঘটনা কাউকে খুলে বললে কিশোরীকে প্রাণে মারার হুমকি দেয় সোলেমান মিয়া। কাউকে এসব ঘটনা না বলার জন্য শপথও করায় সোলেমান। তবে কিশোরীর শারিরিক লক্ষণ ঠের পেয়ে স্বজনরা জিজ্ঞেস করলে কেঁদেকেটে পুরো সে ঘটনা খুলে বলে দেয়।
এ ঘটনায় গত ২৪ জানুয়ারি কিশোরীর প্রতিবন্ধী ভাই ছাতক থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করলে পালিয়ে যায় সোলেমান আলী। বুধবার বিকেলে তাকে থেকে গ্রেপ্তার করে ছাতক থানা পুলিশ।
ছাতক থানার ওসি শেখ মো. নাজিম উদ্দিন বলেন, কিশোরী মেয়েটি এখন তিন মাসের অন্তস্বত্তা। ধর্ষক তার আপন তালতো ভাই। তিনি কোরআনে হাফেজ ও একটি মাদরাসার শিক্ষক। আজ দুপুরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।