হাওর ডেস্ক::
দেশের সাহিত্য-সংস্কৃতি থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২১ ব্যক্তিকে একুশে পদক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
বৃহস্পতিবার সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (অনুষ্ঠান) অসীম কুমার দে স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, শিল্পকলা, সাংবাদিকতা, সাহিত্য, শিক্ষা, অর্থনীতিসহ নানা ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য একুশে পদক দেওয়া হয়ে থাকে।
এ বছর ভাষা আন্দোলনে মরণোত্তর একুশে পদক পাচ্ছেন তিনজন। তারা হলেন- মোতাহের হোসেন তালুকদার (মোতাহার মাস্টার), শামছুল হক ও আফসার উদ্দীন আহমেদ।
মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য মরণোত্তর একুশে পদক পাচ্ছেন সৈয়দা ইসাবেলা (মরণোত্তর), গোলাম হাসনায়েন ও ফজলুর রহমান খান ফারুক।
সংগীতে একুশে পদক পাচ্ছেন পাপিয়া সারোয়ার, অভিনয়ে রাইসুল ইসলাম আসাদ ও সুজাতা আজিম, নাটকে আহমেদ ইকবাল হায়দার, চলচ্চিত্রে সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকী, আবৃত্তিতে ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়।
সাংবাদিকতায় অজয় দাশগুপ্ত, আলোকচিত্রে পাভেল রহমান, গবেষণায় সমীর কুমার সাহা, শিক্ষায় মাহফুজা খানম, অর্থনীতিতে মির্জা আব্দুল জলিল, সমাজসেবায় অধ্যাপক কাজী কামরুজ্জামান এবার একুশে পদক পাচ্ছেন।
ভাষা ও সাহিত্যে কবি কাজী রোজী ও লেখক-গবেষক গোলাম মুরশিদের পাশাপাশি বুলবুল চৌধুরীও পাচ্ছেন একুশে পদক।
পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ৩৫ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণপদক, এককালীন চার লাখ টাকা ও একটি সম্মাননাপত্র দেওয়া হবে।
সংস্কৃতি সচিব বদরুল আরেফীন বলেন, আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পুরস্কারপ্রাপ্তদের একুশে পদক দেবেন।
মূল অনুষ্ঠানটি বরাবরের মতোই ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে হবে। তবে মহামারিকালে এবার সেখানে আমন্ত্রিত অতিথিদের সংখ্যা ‘একেবারেই কম’ থাকবে বলে জানান সচিব।