হাওর ডেস্ক ::
দাম নিয়ে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মধ্যে ভোজ্যতেলের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় সংক্রান্ত দর নির্ধারণ কমিটি। কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এখন থেকে খুচরা পর্যায়ে খোলা সয়াবিন প্রতিলিটার ১১৫ টাকা, বোতলজাত ১৩৫ এবং পামসুপার তেল প্রতিলিটার ১০৪ টাকায় বিক্রি হবে।
বুধবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে দর নির্ধারণ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভা শেষে কমিটির সভাপতি বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। মন্ত্রী বলেন, অবিলম্বে এই মূল্য কার্যকর হবে।
দর নির্ধারণ কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এখন থেকে খোলা সয়াবিন প্রতিলিটার মিল গেটে ১০৭, পরিবেশক পর্যায়ে ১১০ ও খুচরা ১১৫ টাকায় বিক্রি হবে।
পাশাপাশি বোতলজাত সয়াবিন প্রতিলিটার মিল গেটে ১২৩, পরিবেশক পর্যায়ে ১২৭ ও খুচরা ১৩৫ টাকা বিক্রি হবে। এছাড়া সয়াবিনের ৫ লিটার বোতল মিল গেটে ৫৯০, পরিবেশক পর্যায়ে ৬১০ ও খুচরা ৬৩০ টাকা বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয় দর নির্ধারণ কমিটি।
অন্যদিকে ভোজ্যতেল হিসেবে বিক্রি হওয়া পামসুপার তেল এখন থেকে মিল গেটে প্রতিলিটার ৯৫, পরিবেশক পর্যায়ে ৯৮ ও খুচরা পর্যায়ে ১০৪ টাকায় বিক্রি হবে।
মূল্য নির্ধারণী সভায় সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রাণালয়ের কর্মকর্তা ও ভোজ্যতেল মিল মালিকদের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদার তুলনায় সয়াবিন ও পাম অয়েলের সরবরাহ কম—এমন অজুহাতে দেশের বাজারে ভোজ্যতেলের দাম ঊর্ধ্বমুখী। গত ১০ বছরের মধ্যে ভোজ্যতেলের দাম এখন সর্বোচ্চ পর্যায়ে। এক মাসের ব্যবধানে খুচরা পর্যায়ে সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে ৯ দশমিক ৫২ শতাংশ। আর বছর ব্যবধানে এ বৃদ্ধির হার ১২ দশমিক ২০ শতাংশ। ৮৮ টাকা লিটার দরের সয়াবিন তেল এখন কোথাও বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা আবার কোথাও ১১৫ টাকা। একই পণ্যের দামে এত পার্থক্যের কোনও ব্যাখ্যা কারও কাছে নেই। সরকারের বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে, গত এক বছরে দেশে সয়াবিন তেলে ২৪ দশমিক ৩২ শতাংশ ও পাম অয়েলের ২২ দশমিক ৮৪ শতাংশ দাম বেড়েছে।