জগন্নাথপুর প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার আগেই ধসে পড়া কান্দুনালা সেতু পরিদর্শন করেছেন সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব নজরুল ইসলাম। শুক্রবার (৫ মার্চ) দুপুরে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এ সময় সেতু সচিব জানান, ঠিকাদার কিংবা স্থানীয় সড়ক ও জনপদ বিভাগের কর্মকর্তাদের কোন গাফিলতি আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তিনি বলেন, সেতু ধসেপড়ায় ঠিকাদার কোনো ক্ষতিপূরণ পাবেন না। তাদের নিজ খরচেই সেতুটি আবার নির্মাণ করে দিতে হবে।
স্থানীয়রা জানান, গত রবিবার সন্ধ্যায় ১০ কিলোমিটারের মাথায় কুন্দানালা খালের উপর নির্মিতব্য সেতুর ৫ টি গার্ডার একে একে ভেঙে যায়।এলাকাবাসী জানান, রাজধানী ঢাকার সঙ্গে জগন্নাথপুর তথা সুনামগঞ্জের দূরত্ব কমাতে সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কের ডাবর পয়েন্ট থেকে পাগলা-জগন্নাথপুর-রানীগঞ্জ আউশকান্দি আঞ্চলিক মহাসড়ক হচ্ছে। এই সড়কের প্রশস্তকরণ দেড় বছর পূর্বে প্রায় ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ডাবর পয়েন্ট থেকে জগন্নাথপুর পর্যন্ত ড্রেনেজসহ ২২ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণের কাজ শুরু হয় এবং ডাবর থেকে জগন্নাথপুর অংশে পুরাতন সেতুগুলো ভেঙে ৭টি নতুন সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয় প্রায় ৬ মাস আগে। ৭টি সেতু নির্মাণের কাজে ১১০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। কাজ করছে ঢাকার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এমএম বিল্ডার্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড। গত রবিবার রাতে ওই সড়কের জগন্নাথপুর অংশের কোন্দানালা খালের উপর প্রায় ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫০ ফুট ১২ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ১০ ফুট ২৫ মিটার প্রস্থের নির্মাণাধীন সেতুটি ধসে পড়ে। অভিযোগ উঠেছে, নিম্নমানের কাজের জন্য সেতুটি ভেঙে পড়েছে। তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এ অভিযোগ অস্বীকার বলেছে, টেকনিক্যাল সমস্যায় গার্ডারগুলো ভেঙে পড়েছে।
এদিকে ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাজ নিয়ে এখন শঙ্কায় পড়েছেন উপজেলাবাসী। প্রায় দেড়শ কোটি টাকা ব্যয়ে জগন্নাথপুরের রানীগঞ্জের কুশিয়ারা নদীর উপর দীর্ঘ একটি সেতু নির্মাণের কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি। এছাড়া সড়কের উপর ৭টি সেতুর কাজ করছে ওই প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে একটি সেতু উদ্বোধনের আগেই ভেঙে যাওয়ায় প্রতিষ্ঠানের কাজের মান নিয়ে সন্দেহের কথা জানিয়েছেন স্থানীয়রা।