স্টাফ রিপোর্টার:
সুনামগঞ্জের বনগাঁও সীমান্তে বিজিবি- চোরাকারবারি সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু ঘটেছে। নিহত ব্যক্তির নাম কামাল হোসেন (৪০), সে সীমান্তের ইসলামপুর উত্তরপাড়ার আব্দুল আওয়ালের ছেলে। শনিবার দুপুরে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর বনগাঁও সীমান্তে অতিরিক্ত বিজিবি ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বনগাঁও সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় গরু নামছে খবর পেয়ে দুপুরে ওখানে একদল বিজিবি সদস্য পৌঁছায়। বিজিবি সদস্যরা ইসলামপুর উত্তর পাড়ার পাশের ভারতীয় সীমানায় কয়েকটি গরু পান। ওই গরুগুলো সীমান্তের ওপার থেকে চোরাই পথে আনা হয়েছে দাবি করে গরুগুলো আটক করে বিজিবি সদস্যরা। অন্যদিকে গ্রামের কামাল হোসেন, তার বোন আমেনা আক্তার, আমেনা আক্তারের স্বামী মোস্তফা মিয়া গরুগুলো তাদের গৃহপালিত দাবি করে। এই নিয়ে দুইপক্ষে কথা কাটাকাটি ও টানাহেছড়া শুরু হয়। এক পর্যায়ে গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে বিজিবির ওপর চড়াও হলে বিজিবি সদস্যরা গুলি ছুড়ে। এসময় কামাল হোসেন গুলিবিদ্ধ হন। গুরুতর আহত কামাল হোসেনকে প্রথমে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে আনা হয়। তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় ডাক্তাররা তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।
ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. খোকন জানান, ওসমানী মেডিকেল কলেজের জরুরি বিভাগে পৌঁছার আগেই কামাল হোসেনের মৃত্যু ঘটেছে।
সুনামগঞ্জ ২৮ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মাকসুদুল আলম ঢাকা পোস্টকে জানালেন, শনিবার দুপুর ১২ টা ১০ মিনিটে বনগাঁও সীমান্তের ১২১৫/১০ নম্বর পিলারের ২০ গজ অভ্যন্তরে ২৫ থেকে ৩০ টি গরু চোরাচালানের সময় বিজিবির সুবেদার মো. মোফাজ্জল হোসেনের নেতৃত্বে একটি টহল দল গরু আটক করতে যায়। বিজিবি সদস্যদের দেখে চোরাকারবারিদের ৩০ থেকে ৩৫ জনের দল বিজিবির উপর আক্রমন করে। এসময় চোরাকারবারি কামাল হোসেন টহল দলের সদস্য লেন্স নায়ক থুই হলা মং মারমাকে লাটি ও দা দিয়ে আঘাত করে। এই অবস্থায় পরিস্তিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং আত্মরক্ষার্থে তিনি গুলি চালান। একটি গুলি কামাল হোসেনের পায়ে লাগে। গুলির শব্দে চোরাকারবারিরা পিছু হটে। পরিস্তিতি স্বাভাবিক হলে ঘটনাস্থল থেকে একটি গরু আটক করা হয়। বর্তমানে পরিস্তিতি শান্ত রয়েছে।