বিশেষ প্রতিনিধি
শিলাবৃষ্টিতে এক একর জমির মিষ্টি কুমড়ার ক্ষেত সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে
সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চলে আজ মঙ্গলবার ভোররাতে বৃষ্টি হয়েছে। তবে সঙ্গে শিলা থাকায় কৃষির জন্য উপকারি এই বৃষ্টিকে শঙ্কার বৃষ্টি বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।
কৃষকরা জানান, বোরো ধানের জন্য এসময় বৃষ্টি জরুরি। বৃষ্টির অভাবে ধানে থোর আসার সময়ে লালচে হয়ে যাচ্ছিল। তাই কায়মনো বাক্যে বৃষ্টির প্রার্থনা করছিলেন কৃষকরা। আজ ভোররাতে কাঙ্ক্ষিত অল্প বৃষ্টি হয়েছে। তবে বৃষ্টির সঙ্গে শিলা থাকায় বিভিন্ন এলাকায় সবজির ক্ষতি হয়েছে। বোরো ধানে থোর না আসায় তেমন ক্ষতি না হলেও সবজি চাষীদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তবে সব এলাকায় শিলাবৃষ্টি হয়নি বলে কৃষকরা জানান।
আজ ভোরে জেলাররসব উপজেলায় অল্প বৃষ্টি হয়েছে। এতে ভোরো ধানচাষীরা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। এই বৃষ্টির ফলে বোরা ধানের ফলন ভালো হবে বলে জানিয়েছেন তারা।
এদিকে দিরাই শাল্লা উপজেলায় বৃষ্টির সঙ্গে শিলাও পড়েছে। এতে সব্জি চাষীদের বড় ক্ষতি হয়েছে। শাল্লা উপজেলার আনন্দপুর গ্রামের কৃষক বিকাশ ঠাকুরের এক একর জমির মিষ্টি কুমড়ার ক্ষেত সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে। বিকাশ ঠাকুর বলেন, আমার প্রায় ৫-৬ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। আমার মতো আরো কয়েকজন কৃষকরও এমন সর্বনাশ হয়েছে। শাল্লায় শিলার সঙ্গে ঝড়েও কাচা ঘর বাড়ি ধসের ঘটনা ঘটেছে। কৃষি বিভাগের মতে শিলায় ১ হাজার হেক্টর বোরো আক্রান্ত হয়েছে।
নোয়াগাও গ্রামের পিসি দাস বলেন, আমাদের এলাকায় শিলা বৃষ্টি হয়েছে। বোরো ধানে থোর না আসায় ক্ষতি হয়নি। তবে সবজির ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে দিরাই শাল্লাররকিছু এলাকায় বোরো ধান মাটির সঙ্গে মিশে গেছে বলে জানা গেছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক ফরিদুল হাসান বলেন, বৃষ্টির সঙ্গে শিলাও ছিল। তবে ক্ষতি তেমন হয়নি। কারণ ধানে এখন থোর আসেনি।