মোঃ মোশফিকুর রহমান স্বপন, ধর্মপাশা থেকে ফিরে,সুনামগঞ্জ।
সারা দেশের জেলা উপজেলায় সূর্য মুখী ফুলের চাষে কৃষকের আগ্রহ বেড়েই চলেছে। সুনামগঞ্জ জেলা শহরের আশপাশে সূর্য মুখী বাগানে দর্শনার্থীদের ভীড় লক্ষ্য করার মতো। হাওরাঞ্চল খ্যাত সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর উত্তর ইউনিয়নে এ বছর একই এলাকায় ৫ জন কৃষকের কর্মপ্রচেষ্টায় সূর্য মুখী ফুলের চাষে দৃষ্টি কেঁড়েছে দর্শনার্থীদের। সরে জমিন ঘুরে জানা যায়, সুৃখাইড় রাজাপুর উত্তর ইউনিয়নের রহমতপুর গ্রাম সংলগ্ন সাসকার হাওরে ৫ জন কৃষক প্রতি জনে ৩৩ শতাংশ করে মোট ১৬৫ শতাংশ ভূমিতে সূর্য মুখী ফুলের চাষ করেছেন।এ বাগানে প্রতিদিন হাওর এলাকার যুব সমাজের ভীড় লক্ষ্য করার মতো। পাশাপাশি এলাকার জনসাধারণকেও দৃষ্টি নন্দন সূর্য মুখী বাগানে গিয়ে মোবাইলে সেলফি তুলতে ও উৎসব মুখর পরিবেশে বিনোদন করতে দেখা যায়। এ সূর্য মুখী বাগানে ২০২০-২১ অর্থ বছর ধর্মপাশা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর হতে রাজস্ব অর্থায়নের মাধ্যমে সহযোগীতা করছে।
এ বিষয়ে হাওরাঞ্চলের নুরপুর গ্রামের যুব নেতা,সমাজ সেবক ও শিক্ষানুরাগী তৃণমূল অটিস্টিক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও সমন্বিত প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের দাতা আব্দুল্লাহ আল আজাদ রাজু বলেন,
সূর্য মুখী ফুল চাষ হাওরাঞ্চলের হাওর বাসীর অবসরে বিনোদনের একটা মাধ্যম। এই সময়ে হাওর এলাকার জনসাধারণ একটু আনন্দ ও বিনোদন চায়,দৃষ্টি নন্দন সূর্য মুখী বাগানে হাওরবাসী তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে সূর্য মুখী বাগানে গিয়ে আনন্দ ঘন পরিবেশ সেলফি তুলে, আনন্দ করে থাকে। বর্তমান সরকারের এ উদ্যোগ খুবই যুগোপযোগী।
এ ব্যপারে সূর্য মুখী বাগানের একজন কৃষক মহরম আলী জানান,কৃষি অফিস আমাদের অর্থ দিয়ে ও পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করেছেন।আমরা শুধু নিজস্ব ভূমিতে সূর্য মুখী চাষ করে নিজের পরিশ্রমের মাধ্যমে তা ফলাতে সক্ষম হয়েছি। তবে বাতাসে অনেক ফুল নষ্ট হয়েছে। এতে করে লাভবান হতে পারব কি না তা সঠিক করে বলা যাচ্ছে না।