বিশেষ প্রতিনিধি::
হেফাজত অনুসারীদের হামলায় একটি গ্রামের নেতৃত্বদানকারী ইউপি সদস্য সহিদুল ইসলাম স্বাধীন একসময় যুবলীগের সাবেক ওয়ার্ড সভাপতি ছিলেন। ফেইসবুকে মামনুল হকের বিরুদ্ধে পোস্টদাতা নোয়াগাঁও গ্রামের ঝুমন দাস আপন ছিলেন শাল্লা উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। বর্তমানে তিনি উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা। জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও দিরাই-শাল্লার সাবেক এমপি নাছির উদ্দিন চৌধুরীর সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিনিধি সম্মেলনে আপনের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
শাল্লা উপজেলা ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে ২০১৪-২০১৫ সনে শাল্লা উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ঝুমন। পরে তিনি ২০১৭ সনে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলেও যুক্ত হন। তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আদর্শের রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে এলাকায় পরিচিত। জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক সাংসদ নাছির উদ্দিন চৌধুরী ও শাল্লা উপজেলা বিএনপির সভাপতি গনেন্দ্র সরকারের সঙ্গে দলীয় কর্মসূচিতেও আগে নিয়মিত তার উপস্থিতি ছিল।
শাল্লা উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সাইফুর রহমান বলেন, ঝুমন আমার কমিটিতে কর্মী ছিল। মামুন মিয়া যখন ছাত্রদলের সভাপতি তখন সে উপজেরা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতো। বর্তমানে তার কোন পদ পদবী আছে কি না আমার জানা নেই।
উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আব্দুল মজিদ বলেন, ঝুমন একসময় ছাত্রদল করতো। সে স্বেচ্ছাসেবক দল বা বিএনপির কোন অঙ্গ সংগঠনের সঙ্গে এখন জড়িত নয়।
সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নাছির উদ্দিন চৌধুরীর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন ধরেননি।
উল্লেখ্য গত ১৫ মার্চ দিরাইয়ে সমাবেশ করে হেফাজতে ইসলাম। সভায় বক্তব্য দেন মামুনুল হক। তার সাম্প্রদায়িক বক্তব্যে ক্ষুব্দ হয়ে ১৬ মার্চ ঝুমন দাস আপন মামুনুলের বোন তুলে গালি দিয়ে স্টেটাস দেন। এতে হেফাজত অনুসারীরা বিক্ষোভ করেন। পরদিন হেফাজত ও মামনুলের একশন স্লোগান দিয়ে গ্রামে গিয়ে হামলা ও লুটপাট চালান। এ ঘটনায় ১৬ মার্চ রাতেই ঝুমন দাস আপনকে আটক করে পুলিশ। বর্তমানে তাকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেন, তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তার তৎপরতার বিষয়ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
(২০১৭ সনে স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিনিধি সমাবেশে জেলা বিএনপির তৎকালীন সভাপতি ও সাবেক সাংসদ নাছির উদ্দিন চৌধুরীর সঙ্গে বিশেষ মুহুর্তে ঝুমন দাস আপন)