হাওর ডেস্ক:
স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে “গৌরবের মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তির মহানায়ক বঙ্গবন্ধু” শীর্ষক এক আলোচনা সভা সকাল ১১ ঘটিকায় কলেজ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোহাম্মদ সাজিনুর রহমান। প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা রমেন্দ্র কুমার দাশ ও বরেণ্য অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক অ্যাড. কল্লোল তালুকদার।
বাংলা বিভাগের প্রভাষক মো. ফজলুল হক দোলনের সঞ্চালিত সভায় প্রধান অতিথি- কিভাবে মহানায়ক বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিলেন এবং কোথায়, কিভাবে যুদ্ধ করেছেন তা আজ ৫০ বছর পর তরুণ প্রজন্ম তথা শিক্ষার্থীদের নিকট তুলে ধরে- নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের উন্নত অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলা গঠনে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
বরেণ্য অতিথি শিক্ষাবিদ, সুনামগঞ্জে বঙ্গবন্ধু ও তৎকালীন রাজনীতি গ্রন্থের লেখক তাঁর বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ একসূত্রে গাঁথা। আজ মুজিব জন্মশতবার্ষিকীতে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে এক অনন্য উচ্চতায় এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা মুক্তিযুদ্ধের পরের প্রজন্ম। আমরা মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি, ইতিহাস পড়ে জেনেছি। হিমালয়ের মতো উচ্চতার বঙ্গবন্ধুকে ১৯৭৫ সালে স্বপরিবারে হত্যা করার পর এদেশে স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃতি ঘটেছে। তাই স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস ও বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী পড়ার জন্য তিনি শিক্ষাথীদের আহবান জানান এবং আজকের এই স্মরণীয় দিনে মুক্তিযোদ্ধার মূখে মুক্তিযুদ্ধের গল্পশুনার একটি অনুষ্ঠান করার জন্য কলেজ কতৃপক্ষকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
সভাপতির বক্তব্যে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোহাম্মদ সাজিনুর রহমান বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধার মূখে মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণমূলক গল্প শুনে আমরা মুক্তিযুদ্ধের অনেক অজানা তথ্য জানলাম। একইসাথে সুনামগঞ্জে বঙ্গবন্ধু ও তৎকালীন রাজনীতি গ্রন্থের লেখককে পেয়ে সুনামগঞ্জে মুক্তির মহানায়ক বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি সম্পর্কে আমরা আরো নতুন কিছু তথ্য জানলাম। আমি কলেজ পরিবারের পক্ষ থেকে মূল্যবান সময় দেয়ার জন্য অতিথিবৃন্দের নিকট আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। স্বাধীনতার সুবণজয়ন্তীর এ অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বঙ্গবন্ধু গবেষককে কলেজের পক্ষে শুভেচ্ছা স্মারক প্রদান করা হয়।
শিক্ষকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, প্রভাষক মেহেদী হাসান, প্রভাষক আসম ফজলুল করিম, প্রভাষক উম্মে নুসরাত সুলতানা, প্রভাষক সোহেল মিয়া, ক্রীড়া শিক্ষক দিলীপ কুমার দাশ, গ্রন্থাগারিক শংকর কুমার সরকার, হিসাবরক্ষক নূর উদ্দিন প্রমূখ।