হাওর ডেস্ক ::
বাংলাদেশ হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রীসহ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ পৌরসভার রয়েল রিসোর্ট হোটেলে আসলে স্থানীয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতারা তাকে অবরুদ্ধ করে। খবর পেয়ে র্যাব-১১ এএসপি জসিমউদ্দিন চৌধুরী পিপিএম, পুলিশের এএসপি, সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও সোনারগাঁ থানার ওসি ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে নিরাপত্তা দেন। পরে হেফাজতকর্মীরা ওই রিসোর্ট ভাঙচুর করে মামুনুল ও তার স্ত্রীকে উদ্ধার করে।
জানা যায়, আল্লামাহ মামুনুল হক আজ সকালে সোনারগাঁয়ের তিনতারকা হোটেল রয়েল রিসোর্টে একজন নারীসহ ৫০১ নম্বর রুমে উঠেন। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে বিকেল তিনটায় স্থানীয় এলাকাবাসী, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা হাজির হয়ে তাকে অবরুদ্ধ করে তার সঙ্গে থাকা নারীর পরিচয় জানতে চান। সঙ্গে থাকা নারী তার দ্বিতীয় স্ত্রী বলে জানালে তারা এর সত্যতা প্রমাণ করতে বলেন।
বিষয়টি হাজী সোহাগ রনির ফেসবুক লাইভে প্রকাশ করলে সোনারগাঁ উপজেলা হেফাজত নেতারা দলবদ্ধ হয়ে রয়েল রিসোর্টের প্রধান ফটক ভাঙচুর করে রাত ৮টার সময় মামুনুল হককে উদ্ধার করে নিয়ে যান। তার ১৫ মিনিট পর মামুনুল হকের স্ত্রীকে উদ্ধার করে নিয়ে যান তারা। এদিকে হেফাজতের নেতাকর্মীরা রয়েল রিসোর্টে ভাঙচুর চালিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করে।
পরে রাত ৮টা ১৫ মিনিটের সময় উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের হাবিবপুর ঈদগাঁ মাঠে হেফাজতকর্মীরা শান্ত করতে সকলের উদ্দেশে আল্লামা মামুনুল হক বক্তব্য রাখেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে অশোভন আচরণের কথা উল্লেখ করে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। পরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে টায়ারে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে। তবে পুলিশ দাবি করেছে, তারা মামুনুলকে পাহারা দেওয়ার পর হেফাজতের নেতাদের হাতে তুলে দিয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) টিআই মোশারফ হোসেন জানান, মামুনুল হককে আটক করা হয়নি। পরিস্থিতি শান্ত রাখতে রিসোর্ট এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।