হাওর ডেস্ক ::
চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে ১০ বছর বয়সী এক ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে হাফেজ নুর উদ্দিন নামের এক মাদরাসা পরিচালককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার সন্ধ্যায় সন্দ্বীপ পৌরসভার ৮নম্বর ওয়ার্ডস্থ আবাসিক গল্লি থেকে সন্দ্বীপ থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। হাফেজ নুর উদ্দিন স্থানীয় দারুল ফুরকান হাফিজিয়া মাদরাসার শিক্ষক ও প্রতিষ্ঠাতা। এ ঘটনায় রাত সাড়ে ৯টার দিকে সন্দ্বীপ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন শিশুটির পরিবার।
ছাত্রী ও তার অভিভাবকের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, হাফেজ মোহাম্মদ নুরুউদ্দিন শুক্রবার সকাল ১১টায় মাদরাসায় পড়ুয়া ওই শিশুকে নাস্তা খাওয়ানোর নাম করে তার ব্যক্তিগত কক্ষে ডাকেন এবং তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন।
শিশুটি জানায়, আমি মাদরাসার হোস্টেলে থাকতাম। হুজুর আমাকে শুক্রবার সকালে আমার এক সহপাঠীর মাধ্যমে তার বাসায় ডাকেন। আমি বাসায় যাওয়ার পর আমাকে জোর করে একটি রুমে নিয়ে গিয়ে দরজা আটকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। আমি চিৎকার করলে আমাকে ছেড়ে দেন এবং আমাকে হুমকি দেন যাতে ঘটনাটি কাউকে না বলি। পরে শনিবার মাদরাসার শিক্ষিকা আমাকে জিজ্ঞাসা করেন, হুজুর কেন ভেতরে ডেকেছিলেন। পরে আমি তাকে ঘটনা খুলে বলি। তিনি আমার পরিবারকে বিষয়টি জানান।
হাফেজ নুরুউদ্দিন বলেন, ‘আমি ধর্ষণের চেষ্টা করিনি’।
হাফেজ মোহাম্মদ নুরুউদ্দিন মুছাপুর ৬নম্বর ওয়ার্ডের হাফেজ মাহামুদুল হাসানের ছেলে। মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা নুরুউদ্দিন তার পরিবার নিয়ে মাদরাসার তিন তলায় থাকেন। পরিবারে তার মা ও স্ত্রী থাকেন। তবে ঘটনার দিন তারা কেউ বাসায় ছিলেন না।
সন্দ্বীপ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বশির আহম্মেদ খান জানান, এ ঘটনাট একটি মামলা দায়ের হয়েছে। আমরা তাকে গ্রেপ্তার করেছি।