স্টাফ রিপোর্টার::
দেশব্যাপী হেফাজতে ইসলামের উগ্র কর্মীদের তা-বের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে শেয়ার করায় সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের ছেলের নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের এক নেতাকে ধর্ম অবমানার মিথ্যা অভিযোগ এনে লাঞ্চিত করা হয়েছে। এ ঘটনায় আওয়ামী লীগের জয়শ্রী ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম আলমকে বহিষ্কার করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের প্রতিবাদের প্রেক্ষিতে স্থানীয় সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন ও সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ বিলকিস জয়শ্রী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম আলমকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ এনে বহিষ্কার করেন। এদিকে আওয়ামী লীগ নেতাকে বহিষ্কারের পর জয়শ্রী এলাকা থেকে তাকে বিকেলে আটক করেছে পুলিশ। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার ভাতিজা গোলাম মোস্তফা।
বুধবার (৭ এপ্রিল বিকেলে) দলীয় প্যাডে সাংবাদিকদের পাঠানো বহিস্কারাদেশ বিষয়ে সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন রতন এমপি এবং সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ বিলকিস উল্লেখ করেন, গত ৬ এপ্রিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতা আফজল খানকে হেফাজতের নৈরাজ্যের ছবি পোস্টের অভিযোগ এনে তাকে লাঞ্চিত করেন আওয়ামী লীগ নেতার ছেলে আল মোজাহিদ ও তার ঘনিষ্টরা। এসময় জয়শ্রী ইউপি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম আলমও ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। তিনি তার ছেলেকে এই অন্যায় আচরণ থেকে বিরত রাখেননি। আওয়ালীগ কার্যালয়ে ছাত্রলীগ নেতার সঙ্গে এমন আচরণ আওয়ামী লীগের সুনাম ও ভাবমূর্তিকে ক্ষুন্ন করেছে। তাই জরুরি সভা করে তার বিরুদ্ধে বহিষ্কারাদেশ নেওয়া হয়েছে। তবে তার ও তার ছেলেসহ হামলাকারীদের আইনী শাস্তির বিষয়ে কিছু বলেননি তারা।
উল্লেখ্য আবুল হোসেন আলম এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের গোষ্ঠীর চাচা। তিনি একসময় জামায়াতের রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন বলে জানিয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ মুরাদ। এমপির হাত ধরেই তিনি কয়েক বছর আগে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ বাগিয়ে নেন।
এ বিষয়ে ধর্মপাশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ বিলকিস বলেন, দলের সুনাম ক্ষুন্ন করে হেফাজতের হয়ে ছাত্রলীগ নেতাকে লাঞ্চিত করায় আমরা আওয়ামী লীগ নেতাকে বহিষ্কার করেছি।
উল্লেখ্য এর আগে এ ঘটনায় দুই পুলিশকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
ধর্মপাশা সার্কেল এএসপি সুজন চন্দ্র সরকার আবুল হাসেম আলমকে আটকের কথা স্বীকার করে বলেছেন, তার বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।