দিরাই প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে বিজিএফের চাল ও টাকা বিতরণকালে তালিকায় নাম না থাকা বঞ্চিত ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের রোশানলের শিকার হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য ও পুলিশ সদস্য লাঞ্চিত হয়েছেন। বুধবার ভাটিপাড়া ইউনিয়নের পানগাঁও গ্রামে ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের ত্রাণ বিতরণকালে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৬ কৃষককে আটক করেছে। এ ঘটনায় চেয়ারম্যান শাহজাহান কাজী বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সকাল থেকে ভিজিএফের চাল বিতরণ শুরু হয়, ৩টি ওয়ার্ডে সাড়ে ৪শ কৃষকের নাম তালিকায় থাকলেও সহ¯্রাধিক কৃষক সেখানে জড়ো হয়। বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে তালিকায় নাম না থাকায় অপেক্ষমাণ ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। কথা কাটকিাটির এক পর্যায়ে উত্তপ্ত কৃষকদের আক্রমণের শিকার হন ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান কাজী, ওয়ার্ড সদস্য নগেন্দ্র চন্দ্র দাস, সংরক্ষিত নারী সদস্যা শেফা বেগম, আইন-শৃঙ্খলা কাজে নিয়োজিত এএসআই জহিরুলসহ পুলিশ সদস্যরা।
এ ঘটনায় ধলকুতুব গ্রামের জইনুদ্দিন, আব্দুল মালেক, ইসলাম উদ্দিন, সাজিদুর রহমানকে আটক করে দিরাই থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
কৃষক তাজুল ইসলাম জানান, আমাদের মেম্বার তালিকায় নাম দেয়ার কথা বলে টাকা নিয়েছে, কিন্তু ত্রাণ বিতরণের সময় দেখা যায় আমাদের নাম নেই, এই নিয়ে মেম্বারের সাথে কৃষকদের কথা কাটাকাটি হলে পুলিশসহ তার লোকজন কৃষকদের উপর আক্রমণ চালায়।
কৃষক জাহির মিয়া বলেন, আমাদেরকে বলা হয়েছিলো তালিকায় নাম আছে, এসে দেখি নাই, মেম্বার তার নিজস্ব পরিবারের একাধিক লোকের নাম দিয়ে ভিজিএফর চাল ও টাকা তুলে নিয়েছেন।
চেয়ারম্যান শাহজাহান কাজী বলেন, তিনটি ওয়ার্ডে এক সাথে ভিজিএফের চাল ও টাকা বিতরণ চলছিলো, ৭নং ওয়ার্ডের কয়েকটি নাম দুইবার আসায় আমি বলেছিলাম এগুলো যাচাই-বাছাই করে পরে দেওয়া হবে। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আক্রমণ করে।
দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল বলেন, ভিজিএফের চাল বিতরণের সময় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যসহ ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের উপর কিছু লোক আক্রমণ করে, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ৬ জনকে আটক করে নিয়ে এসেছি। ইউপি চেয়ারম্যান বাদী হয়ে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।