সাজ্জাদ হোসেন শাহ্:
নামগঞ্জের তাহিরপুরে দুই সন্তানের জননীকে হত্যা করে ঘরের বাইরে ফেলে রেখে গেছে দুর্বৃত্তরা।
নিহত গৃহবধু আজমিনা বেগম (২৮) উপজেলার ৫নং বাদাঘাট উত্তর ইউনিয়নের জৈতাপুর গ্রামের শাহনুর মিয়ার স্ত্রী। বুধবার ভোরে বসতঘরের অদূরে থাকা লাকড়ি ঘরের মাছার নিচে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা লাশ উদ্ধার করে তাহিরপুর থানা পুলিশ।
ঘটনার খবর পেয়ে তাহিরপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. বাবুল আখতার, তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল লতিফ তরফদার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এসময় দাদের সঙ্গে ছিলেন, থানার এসআই মো. গোলাম হক্কানী, এসআই মাহমুদুল হাসান, এএসআই রাজু কুমার বিশ^াস।
পুলিশ ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, আজমিনার স্বামী শাহনুর মিয়া সপ্তাহ খানেক ধরে জামালগঞ্জ উপজেলার একটি হাওরে ধান কাটার কাজে ছিল। সেই সুবাধে গৃহবধূ তার ৫ বছরের ১ছেলে ও ২বছরের ১মেয়েকে সাথে নিয়ে বাড়িতে থাকতেন।
মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ২টার দিকে আজমিনার ছেলে-মেয়ের কান্নাকাটি শুনে পাশের ঘর থাকা শুশুর ও অন্যরা দৌড়ে ছুটে এসে দেখতে পায় আজমিনা ঘরে নেই।
পরে শুশুর বাড়ির লোকজন রাতে গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি করে আজমিনার সন্ধান না পেয়ে ঘরে ফিরে আসে। ভোরে আবারো তার খুঁজে বের হলে বসতঘরের অদূরে লাকড়ি রাখার মাছার নিচে মরদেহ পড়ে থাকতে দেখতে পেয়ে থানা পুলিশকে খবর দেয়। সকাল সাড়ে সাতটায় খবর পেয়ে তাহিরপুর থানার বাদাঘাট পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই মো. রাজিবুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়না তদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করেন।
আজমিনার স্বামী শাহনুর মিয়া জানিয়েছেন, আমি গত ৭-৮ দিন ধরে ধান কাটার কাজে জামালগঞ্জের সাচনায় ছিলাম। কে বা কারা এবং কেন আমার স্ত্রীকে এমন করে হত্যা করে লাশ বাইরে ফেলে রাখলো, কিছুই বুঝতেপারছিনা।
তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল লতিফ তরফদার এ প্রতিবেদককে বলেছেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি একটি হত্যাকান্ড। নিহতের মাথায়, গালে ও গলায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ময়না তদন্ত রিপোর্ট আসলে মৃত্যুর প্রকৃত কারন জানা যাবে।