দক্ষিণ সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি::
কালভার্টের কাজে নি¤œমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের প্রতিবাদ করায় আওয়ামী লীগ নেতা ও ঠিকাদারের আতœীয়-স্বজনরা মসজিদের ভেতর ঢুকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এক ইউপি সদস্যকে হাতুরি, চাকু ও রড দিয়ে বেধড় পিটিয়েছে। গুরতর আহত ওই ইউপি সদস্যকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ২/৩দিন পূর্বে পশ্চিম পাগলা ইউপি সদস্য রনজিৎ সূত্রধর তার ব্যক্তিগত ফেইসবুক আইডিতে পশ্চিম পাগলা ইউনিয়নের ধলার হাওরে পানি নিষ্কাশনের জন্য শত্রুমর্দন গ্রামে নির্মাণাধীন একটি কালভার্টে নি¤œমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। ওই সেতুর ঠিকাদার হিসেবে কাজ করছিলেন জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল আলম নিরু। নির্মাণ চলাকালেই কালভার্টের বালু পাথর ও রড উঠে যাচ্ছে বলে ইউপি সদস্য ফেইসবুকে লিখেন। এর জের ধরে তাকে হুমকি ধমকি দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্থানীয় ওই ইউপি সদস্য শত্রুমর্দন গ্রাম থেকে মোটর সাইকেল যোগে পাগলা বাজারস্থ কান্দিগাঁও মসজিদের সামনে আসা মাত্রই বাগেরকোনা গ্রামের সুমন মিয়া, সুজন মিয়া, কামরুল ইসলাম ও সোহেল রানা তালুকদারসহ কয়েকজন অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে রনজিৎ সূত্রধরের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় ইউপি সদস্য প্রাণ বাঁচাতে পাশর্^বর্তী কান্দিগাঁও জামে মসজিদে আশ্রয় নিলে মসজিদে ঢুকেও তারা ইউপি সদস্যকে হাতুড়িপেটাসহ ধারালো চাকু ও রড দিয়ে উপর্যুপুরি আঘাত করতে থাকে। এতে তিনি লুটিয়ে পড়েন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে দ্রুত সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন। সেখানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
অভিযুক্ত রেজাউল আলম নিক্কু সাংবাদিকদের বলেন, আমার ভাই-ভাতিজা ক্ষুব্দ হয়ে ইউপি সদস্যকে মারধর করেছে। এ ঘটনায় আমি দুঃখিত।
দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ আল আমিন ঘটনার বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মারপিটের ঘটনায় তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি এবং দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।