স্টাফ রিপোর্টার::
সুনামগঞ্জের দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার পাগলা বাজার মসজিদে ডুকে হিন্দু সম্প্রদায়ের ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনার প্রতিবাদে সন্ত্রাসীদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। মানবন্ধনের আগে এলাকার হিন্দু-মুসলমান এই ঘটনার প্রতিবাদে ও সন্ত্রাসীদের শাস্তির দাবিতে সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কে প্রায় এক ঘন্টা অবস্থান কর্মসূচি পালন করে।
উল্লেখ্য গত ১৫ মে পশ্চিম পাগলা ইউপি সদস্য রনজিৎ সূত্রধর স্থানীয় একটি কালভার্ট নির্মাণে নি¤œমানের সামগ্রী ব্যবহার হচ্ছে অভিযোগ করে তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছিলেন। এতে ক্ষুব্দ হয়ে ওই কালভর্টের ঠিকাদার ও জেলা আওয়ামী লীগ নেতা রেজাউল আলম নিক্কুর লোকজন মঙ্গলবার বিকেলে পাগলবাজার সংলগ্ন কান্দিগাও মসজিদে ডুকে ইউপি সদস্যকে হাতুড়ি, চাকু ও রড দিয়ে বেদম পিটিয়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় দল মত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বিভিন্ন পেশাজীবি সম্প্রদায়ের লোকজন বুধবার দুপুরে ঘটনাস্থলে প্রতিবাদ কর্মসূচি ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন। দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলাবাসীর ব্যানারে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদী কর্মসূচিতে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষজন অংশ নেন।
দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সিতাংশ শেখর ধর সিতুর সভাপতিত্বে ও সুরঞ্জিত চৌধুরী টপ্পার পরিচালনায় প্রদিবাদ কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন, পশ্চিম পাগলা ইউপি চেয়ারম্যান মো. নুরুল হক, পাথারিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. আমিনুর রশিদ আমিন, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি হাজী আব্দুল হেকিম, উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. আনছার উদ্দিন, সাবেক পশ্চিম পাগলা ইউপি চেয়ারম্যান জগলুল হায়দার, পাগলা বাজারের ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন, জাতীয় হিন্দু মহাজোট নেতা রাকেশ রায়, উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ সভাপতি দিলীপ তালুকদার, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধ রবিন্দ্র তালুকদার, এ্যাডভোকেট রাধা কান্ত দাস, ইউপি সদস্য মকবুল হোসেন প্রমুখ।
প্রতিবাদ কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে তার এলাকার কালভার্ট নির্মাণের কাজে দুর্নীতির প্রতিবাদ করায় ইউপি সদস্য রনজিত সূত্রধরের উপর প্রকাশ্যে কাপুরোষিত হামলা হয়েছে। প্রাণে বাঁচতে ওই ইউপি সদস্য মুসলমানদের পবিত্র স্থান মসজিদে প্রবেশ করেও রেহাই পাননি। মসজিদে ডুকে তাকে হাতুড়ি, চাকু, রডসহ ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে। এখন তার অবস্থা সংকটাপন্ন। এই ঘটনায় প্রায় ২৪ ঘন্টা অতিবাহিত হলেও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মামলা না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন বক্তারা। তারা অবিলম্বে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবি জানান।