হাওর ডেস্ক ::
কুমিল্লার দেবিদ্বারে অন্যের বউ নিয়ে পালানোর অভিযোগ উঠেছে মসজিদের এক ইমামের বিরুদ্ধে। উপজেলার গুনাইঘর উত্তর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক সমালোচনা তৈরি হয়েছে।
অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির নাম মাওলানা ফয়সাল আহমেদ কাউসারী। তিনি গুনাইঘর উত্তর ইউনিয়নের বাকসার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম। বিভিন্ন ওয়াজ মাহফিলের নিয়মিত আলোচক ছিলেন তিনি। তার বাড়ি পাশ্ববর্তী মুরাদনগর উপজেলার কলেজ পাড়া এলাকায়। তার স্ত্রী-সন্তান রয়েছে। ওই ঘটনায় গতকাল শুক্রবার সকালে দেবিদ্বার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ইমামের সঙ্গে পালানো নারীর স্বামী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ফয়সাল আহমেদ কাউসারী দেড় বছর আগে বাকসার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম হিসেবে নিয়োগ পান। সেই সূত্রে তিনি বাকসার বাজারের এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে যেতেন। পাশাপাশি তিনি ওই ব্যবসায়ীর সন্তানদের কোরআন শেখাতেন। নিয়মিত যাওয়া আসার এক পর্যায়ে ওই ব্যবসায়ীর স্ত্রীর সঙ্গে ফয়সাল আহমেদের পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে উঠে। গত বৃহস্পতিবার রাতে ব্যবসায়ীর স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়ে যান মাওলানা ফয়সাল আহমেদ।
ওই নারীর দেবর ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘ঘটনার পর থেকে বড় ভাই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। আমরা কখনো দেখিনি বা সন্দেহ করেনি। হুজুর বাসায় আসতেন, আমাদের ভাতিজি ও ভাতিজাকে কোরআন শেখাতেন। কিন্তু ভাবি ঘরের মূল্যবান জিনিসপত্র, নগদ টাকাসহ প্রায় ১০-১২ লাখ টাকা মূল্যের স্বর্ণলংকার নিয়ে তার সঙ্গে পালিয়েছেন। অনেক খোঁজাখুজি করেও তার কোনো হদিস মেলেনি। এ ব্যাপারে দেবিদ্বার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
বাকসার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সভাপতি মো. আতিকুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেছি। এ ঘটনায় মানুষ ব্যাপক সমালোচনা করছে। হুজুরের ঘরে স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে।’
অভিযোগ তদন্তকারী কর্মকর্তা দেবিদ্বার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আলমগীর হোসেন জানান, এ ঘটনায় দেবিদ্বার থানায় ওই নারীর স্বামী একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন । ঘটনার তদন্ত চলছে। সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।