স্টাফ রিপোর্টার:
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে আটকের কয়েকঘন্টার মধ্যে ঘাট ছেড়ে বালু বোঝাই ট্রলার পুলিশের নিকট হতে ছাড়িয়ে নিয়ে গেছে মালিকপক্ষ। বালু সহ পাঁচ লাখ মুল্যের ওই ট্রলারটি ছড়িয়ে নিতে মাত্র ২০ হাজার টাকায় রফদাফার অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার রাতে অভিযুক্ত এসআই গণমাধ্যমের নিকট রফাদফার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ৩’শ ঘনফুট বালু সহ পাঁচ লাখ টাকা মুল্যের ট্রলারটি জব্দ করা হয়েছে এমনকি সোমবার রাত ১০টা কিন্তু সোমবার সকাল হতে রাত ১০টা অবধি স্থানীয় লোকজন বালু বোঝাই ট্রলারটি ওই ঘাটে দেখতে পাননি বরং রফদফার পর রাতেই মালিক পক্ষ ঘাট হতে ট্রলার ছাড়িয়ে নিয়ে গেছেন বলে জানান এলাকার লোকজন।
উল্লেখ্য যে, রবিবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার সীমান্ত নদী জাদুকাটা মহাল হতে চুরি করে নেয়া বালু বোঝাই একটি(ইঞ্জিন চালিত ষ্টিল বডি) ট্রলার ৩’শ ঘণফুট বালু সহ উপজেলার পিরোজপুর গ্রামের ঘাটে ওই ট্রলারটি আটক করে পুলিশ স্থানীয় ইউপি সদস্যের জিম্মায় দিয়েছে। রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাহিরপুর থানার ওসি মো. আব্দুল লতিফ তরফদার পিরোজপুর গ্রামে নদীর তীরে থাকা একটি বালু বোঝাই ট্রলার আটকের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
রবিবার রাতে প্রত্যদর্শীরা জানান,সরকারিভাবে নিষেধাজ্ঞায় বালু পাথর মহাল ইজারা বন্ধ থাকার সুবাধে জাদুকাটা নদীর মহাল এলাকা হতে রাতের আঁধারে চুরি করে নেয়া কয়েক হাজার ঘনফুট খনিজ বালূ পিরোজপুর নদী তীরবর্তী এলাকায় মজুদ করেন গ্রামের রমিজ উদ্দিনের ছেলে বদর উদ্দিন গং।
রবিবার সন্ধার প্রায় ৮ হাজার ঘনফুট বালু ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ইঞ্জিন চালিত ষ্টিল বডি ট্রলারে শ্রমিক দিয়ে বালূ বোঝাই করতে থাকেন। বিষয়টি এলাকার লোকজন থানার ওসিকে অবহিত করলে পরবর্তীতে থানা পুলিশ পিরোজপুর এসে প্রায় বালু বোঝাই ট্রলারটি আটক করে ইউপি সদস্যের জিম্মায় দিয়ে চলে যায়।
রবিবার রাতে উপজেলার পিরোজপুর গ্রামের বদর উদ্দিনের নিকট এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চেষ্টা করছি ট্রলারটি থানা থেকে ছাড়িয়ে আনতে,পুলিশ আমার ট্রলার ছেড়ে দিবে ব্যবস্থা করেছি।