হাওর ডেস্ক::
মোবাইল ফোনে অন্য বাহিনী নিয়ে বিধিবহির্ভূত কথাবার্তা বলার অভিযোগে পুলিশের দুই কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত (সাসপেন্ড) করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তাঁরা হলেন পুলিশ সুপার (এসপি) পদমর্যাদার এস এম ফজলুল হক এবং সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) নাজমুল হাসান। এস এম ফজলুল হক রাজশাহীতে র্যাব-৫-এ কর্মরত ছিলেন আর নাজমুল হাসান ছিলেন রাজশাহী মহানগর পুলিশে। দুজনকে সাময়িক বরখাস্ত করে পুলিশ সদর দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, সাময়িক বরখাস্ত হওয়া ওই দুজন মোবাইল ফোনে অন্য একটি বাহিনীর কর্মকর্তাদের নিয়ে বিরূপ আলোচনা করছিলেন। তাঁদের বিধিবহির্ভূত আপত্তিকর ওই কথোপকথন সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায় বেশ আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয়।
ওই সূত্র আরো জানায়, ওই দুজনের বিরুদ্ধে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে প্রস্তাব আসে। সেই প্রস্তাবের আলোকে গতকাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে তাঁদের সাময়িক বরখাস্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে জানান, তাঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হবে। পাশাপাশি তদন্ত কমিটি করে তদন্ত করা হবে। আপাতত তাঁদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে।
গতকাল মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ওই দুজনের নামে পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। দুটি প্রজ্ঞাপনেই সই করেছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘সরকারি কর্মচারী আইন ২০১৮ (২০১৮ সালের ৫৭ নং আইন) ৩৯/ (১) ধারার বিধান মোতাবেক অদ্য ২৫/৫/২০২১ তারিখ থেকে তাঁদের দুজনকে সরকারি চাকরি হতে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো। সাময়িক বরখাস্তকালীন সময়ে তাঁরা পুলিশ অধিদপ্তরে সংযুক্ত থাকবেন এবং বিধি অনুযায়ী খোরপোশ ভাতা প্রাপ্য হবেন। জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হলো।’
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি এসপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত ৪৭ জনকে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে র্যাবে পদায়ন করা হয়। ফাঁস হওয়া ফোনালাপে ওই পদায়নকে ঘিরে বিধিবহির্ভূত, আপত্তিকর ও অপেশাদার মন্তব্য রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।