হাওর ডেস্ক::
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দ্রুত প্রত্যাবর্তনের দাবিতে ইউরোপীয় কমিশন ও জাতিসংঘে স্মারকলিপি দিয়েছে ভয়েস অব হিউম্যানিটি ও জার্মান-বাংলা প্রেস ক্লাব। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মিয়ানমারে দ্রুত প্রত্যাবর্তন করে তাদের মৌলিক অধিকার সুরক্ষার দাবি জানান তারা।
জার্মানির স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ভয়েস অব হিউম্যানিটি ফাউন্ডেশন ও জার্মান বাংলা প্রেস ক্লাব যৌথভাবে ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসোলা ফন দ্যা লেইয়েন ও জাতিসংঘের মহাসচিব এন্তোনিও গুতেরেসের কাছে সহযোগিতা কামনা করে স্মারকলিপি দেন।
ভয়েস অব হিউম্যানিটি ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট এম এ হাসান ও জার্মান বাংলা প্রেসক্লাবের প্রেসিডেন্ট খান লিটনের যৌথ স্বাক্ষরিত স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, ২০১৭ সালে মিয়ানমারের আরকান রাজ্য সহিংসতার শিকার হয়ে তারা বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকা কক্সবাজার জেলার উখিয়া ও টেকনাফে বিভিন্ন ক্যাম্পে আশ্রয় নেন। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক-স্হানীয় এনজিও ও বাংলাদেশের জনগণ তাদের নানাভাবে সহযোগিতা করে আসলেও তাদের জীবন অতিবাহিত হচ্ছে নানা বিপর্যের মধ্যে। ক্যাম্পগুলোতে চরমভাবে লঙ্ঘিত হচ্ছে মানবাধিকার। রোহিঙ্গা শিশুদের নেই কোনো উচ্চ শিক্ষার সুযোগ।
এ ব্যাপারে ভয়েস অব হিউম্যানিটির প্রেসিডেন্ট এম এ হাসান বলেন, একমাত্র তাদের স্ব-দেশে নাগরিকত্ব প্রদানপূর্বক প্রত্যাবর্তনই মৌলিক অধিকার সুরক্ষিত হবে এবং তাদের প্রত্যাবর্তনের জন্য মিয়ানমার সরকারকে চাপ প্রয়োগ ও জবাবদিহিতার আওতায় আনতে পর্যায়ক্রমে ওআইসি, সার্কসহ সকল আর্ন্তজাতিক ও আঞ্চলিক সংস্থার সহযোগিতা ও হস্তক্ষেপ কামনায় সবার কাছে একটি করে কপি পাঠানো হবে।
জার্মানিতে নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, বাংলাদেশ সরকারের সাথে মায়নমার সরকার প্রত্যাবর্তন চুক্তি হলেও নানান কারণে মিয়ানমার প্রত্যাবর্তনে বিলম্ব করতেছে। আশা রাখি সবার সহযোগিতায় মিয়ানমার সরকার তাদের গ্রহণ করবেন ও তাদের নাগরিক অধিকার পুনরায় ফিরিয়ে দিবেন।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়েন্স সদস্য ও জাতীয় সংসদের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সংসদীয় মন্ডলীর সভাপতি কর্নেল (অব.) ফারুক খান এমপি জানান, তাদের প্রত্যাবর্তনের জন্য বাংলাদেশ সরকার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো সহযোগিতা কামনা করছে।
ইতালীয় নাগরিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কর্মী প্রফেসর ড. লুসিয়া ব্রুনাই বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সঙ্গে যা হচ্ছে তা খুবই অমানবিক ও অসহনীয়। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর এই ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।