হাওর ডেস্ক ::
দক্ষিণ-পশ্চিমে মৌসুমি বায়ু মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন উপকূল পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছে এবং তা আরো অগ্রসর হওয়ার জন্য আবহাওয়াগত পরিস্থিতি অনুকূলে রয়েছে।
আগামী ৭২ ঘণ্টা নাগাদ এই মৌসুমি বায়ু টেকনাফ উপকূল পর্যন্ত অগ্রসর হতে পারে। এর প্রভাবে চলতি সপ্তাহের শেষ নাগাদ সারা দেশে ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক বলেন, ‘এখন দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিপাত হলেও তা বর্ষার বৃষ্টি নয়, এটা পশ্চিমা লঘুচাপের প্রভাবে হচ্ছে। এ জন্য থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। তবে মৌসুমি বায়ু দেশে ঢোকার পরই মূলত বর্ষার বৃষ্টি শুরু হবে। আগামী বুধ বা বৃহস্পতিবার থেকে দেশে ভারি বৃষ্টি শুরু হতে পারে। এর দু-এক দিন পর একটি নিম্নচাপের সম্ভাবনা রয়েছে। সেটা হলে বৃষ্টির সঙ্গে দমকা হাওয়া বা ঝড়ও হতে পারে।’
গতকাল রাজধানীতে দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত প্রায় টানা বৃষ্টিপাত হয়। তবে এই বৃষ্টি কখনো ছিল মুষলধারে আবার কখনো ছিল হালকা। তবে টানা কয়েক ঘণ্টা বৃষ্টিপাত হওয়ায় মানুষকে দুর্ভোগে পড়তে হয়। অনেক এলাকার রাস্তাঘাটই পানিতে তলিয়ে যায়।
গতকাল সকাল ৯টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তত্সংলগ্ন বাংলাদেশ এলাকায় অবস্থান করছে। এর একটির বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর প্রভাবে ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বৃষ্টি হতে পারে।
তাপপ্রবাহের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, দিনাজপুর, নীলফামারী, চাঁদপুর জেলাসহ ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং এটি কিছু এলাকায় কমতে পারে। পাশাপাশি সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
গতকাল সকাল ৬টা পর্যন্ত দেশে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে সিলেটে ১০৪ মিলিমিটার। গত শুক্রবার দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল খুলনায় ৩৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।