স্টাফ রিপোর্টার::
বিভিন্ন সময়ে নানা অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িত শাল্লা উপজেলার আনন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি কাম
প্রহরী প্রসেন রায় ওরফে গোপাল রায়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছে থানা পুলিশ। মামলা নং-(০৫)। ১৬ জুন প্রসেন রায় (গোপাল) রায়ের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে পুলিশ। পরে ১৬জুন তাকে সুনামগঞ্জ জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। ১৫জুন আনন্দপুরস্থ দিরাই-শাল্লা রাস্তার মোড় এলাকায় ৪লিটার মদসহ ওই দপ্তরিকে আটক করে পুলিশ। জানা যায়, ১৭ অক্টোবর ২০১৮ খ্রিস্টাব্দে নিয়ামতপুর সার্বজনীন দুর্গাপূজায় মদ খেয়ে স্বয়ং পুলিশের সাথে ঔদ্ধত্য আচরণ করে দপ্তরি গোপাল রায়। তার সাথে সেদিনও মদ সঙ্গে ছিলো। পরে প্রভাবশালী গোপাল রায়কে উত্তম মধ্যম দেয় পুলিশ। পূজার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হবে বলেই নিয়ামতপুর গ্রামবাসী গোপাল রায়কে আনন্দপুর পাঠিয়ে দেয়। এসব কথা এখন সাধারণ মানুষের মুখে মুখে। পরে ওই রাতেই আনন্দপুর গ্রামের একাধিক নারীকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে সে। আনন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিশু শিক্ষার্থীকেও ধর্ষণের চেষ্টা করে দপ্তরি গোপাল রায়। ১৪জন অভিভাবকের স্বাক্ষর নিয়ে অভিযোগও করেন শিশুটির পিতা। কিন্তু সুবিচার পাননি তিনি। পরে দপ্তরি গোপাল রায়ের ভয়ে তার কন্যা শিশুকে দক্ষিণ হাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করান শিশুটির পিতা। এবিষয়ে শাল্লা থানার অফিসার ইনচার্জ নূর আলম বলেন তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। আজ (১৬জুন) তাকে সুনামগঞ্জ জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার দ্বীন মোহাম্মদ বলেন নৈতিক চরিত্র স্খলন হলে তার আর চাকুরি করার সুযোগ নেই। এব্যাপারে আনন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অখিল চন্দ্র দাস বলেন গোপাল রায় প্রতিদিনই স্কুলে থাকে না। আমি তার মাকে বারবার বলেছি একথা। আমার একথায় তার মা রাগে চলে যান। তিনি আরো বলেন সব কাজ আমাকে করতে হয়। এতবড় গ্রামে অভিভাবকদের বাড়ি বাড়ি আমাকে যেতে হয়। আমি এমন দপ্তরি আর স্কুলে রাখবো না। কমিটির মিটিং ডেকেছি।