হাওর ডেস্ক ::
সারা বছর শিক্ষার্থীদের ডিজিটালি ক্লাস নিতে একটি সুনির্দিষ্ট ‘টেলিভিশন চ্যানেল’ চালুর পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে নওগাঁ-২ আসনের এমপি শহীদুজ্জামান সরকারের প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী একথা জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
দীপু মনি বলেন, সারা বছরই যাতে শিক্ষার্থীরা ডিজিটাল ক্লাসে অংশগ্রহণ করতে পারে, তার জন্য একটি ডেডিকেটেড চ্যানেল চালুর বিষয়টি বিবেচনাধীন রয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বর্তমানে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনলাইনে পরীক্ষাও নেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, টিকা দেওয়ার পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু হবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সবাইকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দ্রুততম সময়ে মধ্যে করোনার টিকা প্রদানের আওতায় নিয়ে আসা হবে। এই টিকা প্রদানের কর্মসূচি আবাসিক শিক্ষার্থীদের দিয়ে শুরু হবে। আবাসিক শিক্ষার্থীদের টিকা প্রদানের পর হলসমূহ খুলে দেওয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সরাসরি ক্লাস শুরু হবে।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে করোনা সংক্রমণ শুরুর পর ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয় সরকার। তার পরদিনই করোনায় দেশে প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। বাড়তে থাকে করোনা সংক্রমণ। দিন দিন পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাওয়ায় কয়েক দফা চেষ্টা করেও আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব হয়নি। ফলে শিক্ষার্থীদের পাঠদানে ব্যাঘাত ঘটে। এর মধ্যে গত বছরের এইচএসসি পরীক্ষা নিতে না পেরে এসএসসি ও জেএসসির ফলাফলের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করে শিক্ষার্থীদের অটোপাস দেওয়া হয়। এ ছাড়া বার্ষিক পরীক্ষা ছাড়াই স্কুলের শিক্ষার্থীদের পরের ক্লাসে উত্তীর্ণ করা হয়।
এদিকে করোনার কারণে শিক্ষার্থীদের পাঠদানে ক্ষতি পোষাতে সংসদ টিভি ও অলাইন ক্লাসের ব্যবস্থা করে সরকার। কিন্তু সেটি আশাব্যঞ্জক হয়ে উঠেনি। কারণ সারা দেশে সব শিক্ষার্থীকে অনলাইন ক্লাসে আনাও সম্ভব হয়নি আর্থিক ও কারিগরি সামর্থ্য না থাকায়।