সাইফ উল্লাহ::
সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জ উপজেলার পল্লীতে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে দুই পক্ষে আহত হয়েছে ৩০ জন। শুক্রবার বিকালে জামালগঞ্জ সদর ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামের স্কুল মাঠের জি.সি.সি. রাস্তায় অপু মিয়া, লাইম মিয়া ও সদর ইউপির সাবেক মেম্বার কামরুল ইসলামের লোকজনের মধ্যে এই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় ৬জনকে আটক করেছে পুলিশ।
জানা যায়, হালির হাওরের ছাতিধরা গ্রুপ জলমহালের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুই পক্ষে এই সংঘর্ষ বাঁধে। বিগত দিনে ছাতিধরা জলমহাল উপজেলা চেয়ারম্যানের নিয়ন্ত্রনাধীন গ্রুপে দীর্ঘ দিন যাবৎ ইজারাপ্রাপ্ত হয়ে মৎস্য চাষ ও আহরণ করে আসছেন। বিগত কিছু দিন পূর্বে ইনছানপুর মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লি. হাইকোর্ট থেকে ৬ বছরের জন্য বন্ধোবস্তপ্রাপ্ত হয়ে মাছের পোনা ছেড়ে অবমুক্ত করে পাহারাদার নিযুক্ত করে মাছ ফলানোর জন্য ব্যবস্থা নিচ্ছে। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছিল। গত ৩১ মে শনিবার ছাতিধরা বিলে মাছ মারতে গেলে বন্ধোবস্তপ্রাপ্ত সদর ইউপির সাবেক মেম্বার কামরুল ইসলাম সমর্থিত সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলী আকবরের লোকেরা বাধা দিলে গত রবিবার ভাসান পানিতে মাছ ধরার দাবীতে বন্ধোবস্তপ্রাপ্ত লোকদের বিরুদ্ধে জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ দাখিল করে। এই ঘটনার জের ধরে উভয় পক্ষে দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে লক্ষীপুর স্কুল মাঠে সংঘর্ষ লিপ্ত হয়।
সংঘর্ষে কামরুল ইসলামের পক্ষে আহতরা হলো মাজির হোসেন (৩৫), দবীর হোসেন (৩৪), মুজিব হোসেন, (২২), রেনু মিয়া (৬০), আমিরুল ইসলাম (৪০), কয়েল মিয়া (৩০), ছাব্বির আলম (২৫), আয়না মিয়া (৩২), জুলহাস উদ্দিন (৩৮), এমারুল হক (৪২), কালা মিয়া (২২), শফিক মিয়া (৪৫), লিয়াকত আলী (২৮), আনারুল হক (৪৮), জাহিদুল ইসলাম (১৮), সোহাগ মিয়া (১৭), কামিল হোসেন (২৮), শাকিল হোসেন (২৮), সেজাব হোসেন (২৩), সাকিরা বেগম (৪০), আলেমা খাতুন (৭৫), ফরিদা বেগম (৩৫)। এর মধ্যে প্রথম ১০ জন গুরুতর আহতদের কে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ ও অন্যরা জামালগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। অপর পক্ষের আহত গোলাম মৌলা (৩০), লাফু মিয়া (৩০), রুহাত হোসেন (১৮), রতন মিয়া (৩০), মো. রুমেল মিয়া (২৪), শুভ মিয়া (১৬) আহত হয়। আহতরা জামালগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
জামালগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল হাসেম বলেন, সংঘর্ষের সংবাদ পেয়ে আমি ফোর্স সহ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনি। আইন শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে আহতদের চিকিৎসার সময়ে জামালগঞ্জ হাসপাতালে উত্তেজনা দেখা দিলে রুবেল মিয়া, শহিদুল, সোফায়েল আহমদ, শুভ হাসান, রুহাত হোসেন, রুমান মিয়াকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। এখনো কোন পক্ষের অভিযোগ পাইনি পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।