তমাল পোদ্দার, ছাতকঃ
ছাতকে কঠোর লকডাউন উপেক্ষা করে জাউয়াবাজারে বসেছে কোরবানির পশুর হাট। স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই শনিবার (১০ জুলাই) সকালে ওই পশুর হাট বসে। বিকেল ৪টা পর্যন্ত হাটে কোরবানির পশু ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে বলে জানা গেছে। হাটে স্বাস্থ্য বিধি না মানা ক্রেতা-বিক্রেতাদের জমজমাট উপস্থিতি ছিল। বিভিন্ন এলাকা থেকে ব্যবসায়ীরা গরু -ছাগল নিয়ে এ হাটে আসেন। এলাকার অনেক সৌখিন খামারিরাও বিক্রির জন্য হাটে তুলেছিলেন তাদের পালিত পশু। জাউয়া বাজারের একাধিক গরু ব্যবসায়ীরা জানান, সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ৫ঘন্টা গরুর হাটে জমজমাট ভাবে কোরবানির পশু ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে। হাট চলাকালে প্রশাসনের কাউকে আশপাশ এলাকায় দেখা যায় নি। কঠোর লকডাউন ও স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করে এ হাট বসায় সুধি জনের মধ্যে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। হাটের কারনে করোনা সংক্রমণে বড় ধরণের ঝুঁকির আশঙ্কা করছেন তারা। এ ব্যাপারে জাউয়াবাজারের ইজারাদার শাহিন মিয়া বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে ছোট পরিসরে এলাকার ব্যবসায়ীদের চাহিদা মেটাতে পশুর হাট বসানো হয়েছে। এখানের ক্রেতা-বিক্রেতাদের সকলের মুখে মাস্ক ছিলো। সামাজিক দূরত্বও বজায় রাখা হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোরবানির পশুরহাট বসাতে তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও)’র অনুমতি নেননি। সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাপস শীল জানান, সুনামগঞ্জ ডিসি অফিস থেকে জাউয়াবাজারে ভ্রাম্যমান আদালতের জন্য একজন ম্যাজিস্ট্রেট দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মামুনুর রহমান জানান, ১৪ জুলাই পর্যন্ত কঠোর লকডাউন। কাজেই এর ভেতরে পশুর হাট বসানো যাবে না। তিনি বলেন, জাউয়াবাজারে যতক্ষণ ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন ততক্ষণ পশুর হাটে ক্রেতা-বিক্রেতা কেউ আসতে পারেনি। এ বিষয়ে পুলিশকে নির্দেশনার পাশাপাশি ইজারাদারকেও নিষেধ করা হয়েছে।