শাল্লা প্রতিনিধি:
গত(১৯ জুলাই) রোজ সোমবার উপেজলার বরাম হাওরে দাড়াইন বাজারের কাছে হাওর রক্ষা বাঁধের পাশ থেকে এক অজ্ঞাত নারীর লাশ উদ্ধার করে শাল্লা থানার পুলিশ। পরে ময়না তদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করা হয়। এরপর শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর আলমের নেতৃত্ব গোপনে তদন্ত করে লাশটির পরিচয় পাওয়া যায়। অজ্ঞাত এই নারী উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের রনধীর দাসের স্ত্রী মানষী সরকার(৩২)। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে গত (২১ জুলাই) বুধবার পাষন্ড স্বামী রণধীর দাসকে গ্রেফতার করে শাল্লা থানায় নিয়ে আসে। গ্রেফতারকৃত আসামী উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের রমেশ দাসের ছেলে। (২২ জুলাই) বৃহস্পতিবার আসামীকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। এরপর ভার্চুয়ালের মাধ্যমে আদালতে মুল রহস্য উদঘাটনের রনধীর দাসের রিমান্ড চাওয়া হলে তিন দিনের জন্য মঞ্জুর করা হয়।
শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) নুর আলম জানান, স্থানীয়দের তথ্য মতে হাওর রক্ষা বাঁধের পাশে ভাঁসমান অবস্থায় গত সোমবার এক অজ্ঞাত নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আর এই লাশটির পরিচয়ের জন্য গোপনে তদন্তে করে লাশটির পরিচয় পাওয়া যায়। এবং তার স্বামীই তাকে মেরে গলায় ইট বেধে পানিতে ভাঁসিয়ে দেন। তবে মানষী নামের এই মহিলাকে হত্যা করার দায়ে স্বামী রনধীর দাসকে গ্রেফতার করা হয়। পরে জেল হাজতে প্রেরণ করে আদালতের কাছে রিমান্ড চাওয়া হলে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বলে তিনি জানান।