অনলাইন ডেক্স::
ইরানের সংসদ ভবন এবং সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খোমেনির মাজারে বন্দুকধারী কতিপয় ব্যক্তি এবং আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীর হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১২ জনে দাঁড়িয়েছে। বুধবার মর্মান্তিক এই হামলার ঘটনা ঘটে।
জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। সংগঠনটির বার্তা সংস্থা আমাক এর মাধ্যমে একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়। এতে সংসদ ভবনের ভিতর অবস্থান করা হামলাকারীদের দেখা যাচ্ছিল। হামলা চলাকালীন সময়ে এধরনের ভিডিও প্রকাশের মাধ্যমে দায় স্বীকার করা বিরলই বলা যেতে পারে।
পুলিশ জানিয়েছে দুপুর ৩ টার দিকে সব হামলাকারীকে হত্যা করা হয়। হামলা শুরুর ৫ ঘন্টার মধ্যেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হয়।
বুধবার সকালে ৪ জন বন্দুকধারী ব্যক্তি ইরানের রাজধানী তেহরানের কেন্দ্রস্থলে সংসদ ভবন কমপ্লেক্সে ঢুকে পড়ে। তারা নিরাপত্তা রক্ষী এবং এক ব্যক্তিকে হত্যা করে বলে জানিয়েছে ইরানি বার্তা সংস্থা ইসনা।
ইরানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, বন্দুকধারীরা নারীর পোশাক পরে দর্শনার্থীদের প্রবেশ দ্বার দিয়ে সংসদ ভবনের ভিতর ঢুকে পড়ে।
ঠিক একই সময়ে তিন থেকে চার জন হামলাকারীর একটি গ্রুপ আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনির সমাধিসৌধে প্রবেশ করে। তারা বাগানের মালীকে হত্যা করে এবং বেশ কয়েকজনকে আহত করে। উল্লেখ্য, আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনি ১৯৭৯ সালে ইরানে ইসলামি বিপ্লবে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
ইরানের জরুরি সেবা বিভাগ জানায়, জোড়া হামলায় মোট ১২ জন নিহত এবং ৩৯ জন আহত হন।
মাজারে হামলাকারীদের মধ্যে একজন নারী হামলাকারী আত্মঘাতী বোমার বিস্ফোরণ ঘটান। এই সময়ে সংসদীয় কার্যালয়ের চতুর্থ তলায় আরেকটি আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরিত হয়।
সুন্নি জিহাদী সংগঠন আইএস শিয়া মতাবলম্বী ইরানকে ধর্মত্যাগী হিসেবে বিবেচনা করে থাকে। অপরদিকে ইরান এই জঙ্গিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সিরিয়া এবং ইরাকে গভীরভাবে লড়াইয়ে যুক্ত রয়েছে।
সূত্র: এনডিটিভি