স্টাফ রিপোর্টার::
জাতির পিতার সহধর্মিনী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯২তম জন্মবার্ষিকী নানা আয়োজনে উদযাপন করেছে জেলা প্রশাসন। এ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা, অসহায় ও দু:স্থ নারীদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ, অসচ্ছল নারীদের মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণ এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের রুহের মাগফিরাত কামনা করে কোরআন খতম, দোয়া মাহফিল এবং বিশেষ প্রার্থনা।
রবিবার সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত মূল অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব পদক প্রদান অনুষ্ঠান জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সম্প্রচার করা হয়। অনুষ্ঠানে বঙ্গমাতার জীবন ও কর্মের ওপর অনুষ্ঠানে একটি ভিডিও চিত্রও পরিবেশিত হয়। এছাড়াও নারীদের আর্থিক সাহায্য ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে বঙ্গমাতার ৯১তম জন্মবার্ষিকীতে দেশের সকল জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত সুবিধাভোগীদের তালিকা অনুযায়ী ৬৪ জেলার ৪ হাজার অসচ্ছল নারীকে সেলাই মেশিন ও মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে ২ হাজার নারীকে ২ হাজার টাকা করে মোট ৪০ লাখ নগদ টাকা ও সেলাই মেশিন বিতরণ কার্যক্রমও অনুষ্ঠানে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
বেলা ১১টায় জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর এবং জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব এঁর ৯১তম জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন।
এছাড়া ভার্চুয়ালি সভায় সংযুক্ত ছিলেন সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ, পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বিপিএম, স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক মোহাম্মদ জাকির হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আল-ইমরান রুহুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অসীম চন্দ্র বনিক, সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নাদের বখত, সকল উপজেলা নির্বাহী অফিসারবৃন্দসহ জেলার বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্যগণ।
দুপুর ১২টায় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব এঁর ৯১তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে অসচ্ছল নারীদের মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন। দুপুর সাড়ে ১২টায় অসহায় ও দু:স্থ নারীদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়।
প্রসঙ্গত, ১৯৩০ সালের ৮ আগস্ট গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন মহীয়সী নারী ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। তিনি ৩ বছর বয়সে পিতা এবং ৫ বছর বয়সে মাতাকে হারিয়েছেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর পিতা-মাতার কাছে লালিত-পালিত হন এবং চাচাত ভাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের সঙ্গে তার দাদা তাকে বিয়ে দেন। স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিনী ফজিলাতুন্নেছা মুজিব আমৃত্যু স্বামীর পাশে থেকে একজন যোগ্য ও বিশ্বস্থ সহচর হিসেবে দেশ ও জাতি গঠনে অসামান্য অবদান রেখে গেছেন।