স্টাফ রিপোর্টার::
তাহিরপুর উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের কড়ইগড়া গারো আদিবাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় বৈঠক করে ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়েছেন আদিবাসী বাঙালি, আদিবাসী সংগঠন এবং অভিযোগকারী ব্যক্তি। পৃথক পৃথকভাবে তারা লিখিত প্রতিবাদ পত্রে এ ঘটনায় ক্ষোভ ও নিন্দা জানান। বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত ‘আদিবাসী পরিবার একঘরে’ প্রকাশিত সংবাদের তীূব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তারা বলেছেন, প্রকাশিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। প্রকৃত ঘটনা হলো তাহিরপুর উপজেলার কড়ইগড়া গারো বেপ্টিস কনভেশন চার্চ কমিটি থেকে মিসেস ঝর্না রাকসামকে খ্রিস্টীয় ধর্মীয় বিধি মোতাবেক অনৈতিক কাজে জড়িত থাকায় চার্চের সদস্য পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। গারো সমাজ বা আদিবাসী সমাজ থেকে নয়, চার্চ কমিটি থেকে তাকে সংশোধনের জন্য সাময়িক বহিষ্কার করেছে। বিধায় প্রকাশিত সংবাদটি মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর। এরকম একটি বিভ্রান্তিকর ও অসত্য সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় তাহিরপুর উপজেলার গারো আদিবাসীরা গভীরভাবে মর্মাহত হয়েছেন। তাদের প্রতি সংহতি জানিয়েছেন স্থানীয় বাঙালিরাও। সবাই স্বীকার করেছেন, নিরীহ আদিবাসী সমাজকে বিভক্ত করার জন্য কুচক্রি মহল উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে উক্ত সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশ করিয়েছে।
এই সংবাদের পৃথক প্রতিবাদ জানিয়েছে মধ্য ও দক্ষিণ বাংলাদেশ শিশু উন্নয়ন প্রকল্প কড়ইগড়া-বিডি ০৪১৫। সাংগঠনিক প্যাডে সভাপতি পরিতোষ মারাক স্বাক্ষরিত প্রতিবাদপত্রে জানানো হয়, গারো বা আদিবাসী সমাজ নয় চার্চ কমিটি থেকে সংশোধনের জন্য ঝর্না রাকসামকে সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। ওই প্রতিবাদ লিপিতে জানানো হয় মিসেস ঝর্না রাকসাম চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে ছিলেন। মেয়াদ শেষে তার চুক্তি নবায়ন করা হয়নি। এতে কোন অনিয়মেরও প্রশ্ন আসার সুযোগ নেই।
অপর একটি প্রতিবাদ লিপিতে নিজে স্বাক্ষর করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন ঝর্না রাকসাম। তিনি প্রকাশিত সংবাদের সঙ্গে দ্বিমত পোষন করে বলেছেন, আমাকে খ্রিস্টীয় ধর্ম অনুশাসন ও বিধি মোতাবেক চার্চের সদস্য পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। গারো আদিবাসী সমাজ থেকে একঘরে করা হয়নাই। প্রকাশিত সংবাদের সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষন করছি। সংবাদটি মিথ্যা।
এভাবে আলাদাভাবে এই ঘটনায় আদিবাসীদের সঙ্গে বাঙালিরা প্রতিবাদ জানিয়েছেন। মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর সংবাদের প্রতিবাদ পত্রে স্বাক্ষর জানিয়ে প্রতিবাদ করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খোকন আলমগীর, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের অর্থ সম্পাদক এন্ড্রু সলোমার, আদিবাসী নেতা শঙ্কর মারাক, ইউপি সদস্য সুষমা জাম্বিল, রুপন রাকসাম, পাস্টর অশোক চিসিম, যুবলীগ নেতা ও স্থানীয় সমাজ সেবক মাসুক মিয়া, মোতালেব মিয়া, পাস্টর সেফার দারিং, ডিকন যতীন্দ্র রাকমাস প্রমুখ। প্রতিবাদপত্রে তারা মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর সংবাদের নিন্দা জানিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিয়ে বসবাস করতে সকলের সহযোগিতা চেয়েছেন।