1. haornews@gmail.com : admin :
  2. editor@haor24.net : Haor 24 : Haor 24
বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:২৫ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
জামালগঞ্জে নবাগত জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় সভা সিলেটে শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসারকে অপসারণের দাবিতে গণস্বাক্ষর কার্যক্রম ২৫০ শয্যা হাসপাতালে সেবার মান বাড়ানোর দাবিতে মতবিনিময় সুনামগঞ্জে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া ও মিলাদ বন্যার্তদের সহায়তায় সুনামগঞ্জে শিল্পকলা একাডেমির ব্যতিক্রমী ছবি আঁকার কর্মসূচি জগন্নাথপুরে শিক্ষিকা লাঞ্চিত: দোষীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতাবিরোধী সকল কালাকানুন বাতিলের দাবি সাবেক ছাত্রলীগ নেতা পান্নার মরদেহ হস্থান্তর করলো মেঘালয় পুলিশ কাদের সিদ্দিকী বললেন: বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ আর শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ এক নয় বাংলাদেশে সাম্প্রতিক বন্যায় ২০ লাখ শিশু ঝুঁকিতে : ইউনিসেফ

এক জেলায় ৩১৭৮ স্কুলছাত্রীর বিয়ে

  • আপডেট টাইম :: মঙ্গলবার, ৫ অক্টোবর, ২০২১, ১২.০৮ পিএম
  • ১৫৩ বার পড়া হয়েছে

হাওর ডেস্ক ::
করোনাকালে বাগেরহাটে আশঙ্কাজনকহারে বেড়েছে বাল্যবিয়ে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী করোনাকালে জেলায় তিন হাজার ১৭৮ শিক্ষার্থী বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে। বাল্যবিয়ে বন্ধে এখনই কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে সচেতন মহল।

জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, করোনার সংক্রমণ শুরুর পর ২০২০ সালের ১৮ মার্চ থেকে চলতি বছরের ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেলার মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের ৫২২ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তিন হাজার ১৭৮ শিক্ষার্থী বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে কচুয়া উপজেলায় সর্বোচ্চ ৫১৬ স্কুলছাত্রীর বাল্যবিয়ে হয়েছে। পাশাপাশি সদরে ৪৯৭, চিতলমারীতে ৪০৭, ফকিরহাটে ৩৯১, মোল্লাহাটে ৩৪৪, মোরেলগঞ্জে ৩৫৫, রামপালে ২৩৭, মোংলায় ২১৮ এবং শরণখোলায় ২১৩ বাল্যবিয়ে হয়েছে।

এর বাইরে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের বাল্যবিয়ে হয়েছে। ঝরে পড়া, বিদ্যালয়ে না আসা হতদরিদ্র পরিবারের অপ্রাপ্তবয়স্ক ছাত্রীদের বিয়ে হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে কি পরিমাণ বাল্যবিয়ে হয়েছে তার সঠিক তথ্য নেই কোনও দফতরে।

জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদফতর করোনাকালীন কতটি বাল্যবিয়ে বন্ধ করতে পেরেছে ১০ দিন সময় নিয়েও সেই তথ্য দিতে পারেননি সংস্থার উপ-পরিচালক মনোয়ারা খানম। বারবার তথ্য দেওয়ার কথা বলেও দেননি। এরপর থেকে কল দিলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে মোবাইল ফোন বন্ধ রাখেন।

জেলা রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালে জেলায় পাঁচ হাজার ৭৩৯ বিয়ে হয়েছে। এই সময়ে দুই হাজার ৭৯৯ তালাক হয়েছে। রেজিস্ট্রারদের মাধ্যমে হওয়া সব বিয়েতে সরকারি বয়সসীমা মানা হয়েছে বলে দাবি করেছেন জেলা রেজিস্ট্রার।

মাত্র দেড় বছরে জেলায় এত সংখ্যক বাল্যবিয়ে হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও অভিভাবকদের অসচেতনতাকে দায়ী করেছে সচেতন মহল।

পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও নারী নেত্রী তানিয়া খাতুন বলেন, করোনাকালীন দরিদ্র ও বস্তিবাসীর মধ্যে বাল্যবিয়ে বেড়েছে। বাল্যবিয়ে বন্ধের জন্য সচেতনতামূলক কোনও কার্যক্রম পরিচালিত হয়নি। এটি বাল্যবিয়ে বাড়ার একটি কারণ। নিম্নআয়ের মানুষ ও বস্তিবাসীকে সচেতন করতে পারলে বাল্যবিয়ে কমবে।

সচেতন মহলের অভিযোগ, বাল্যবিয়ে বন্ধের জন্য মহিলা বিষয়ক অধিদফতর ও স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন কাজ করে। এর সঙ্গে স্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, জনপ্রতিনিধি, নারী সংগঠন, জেলা মহিলা সংস্থা, মহিলা পরিষদসহ নানা সংগঠন রয়েছে। এক জেলায় এতগুলো বাল্যবিয়ে হলো অথচ তারা খবরই রাখলো না।

জেলা মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান ও নারী অধিকার আন্দোলনের কর্মী আইনজীবী শরিফা খানম বলেন, করোনাকালীন সবকিছু স্থবির হয়ে পড়েছিল। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। এ সুযোগে মুঠোফোনে অতিরিক্ত আসক্তি, সচেতনতার অভাব ও দারিদ্র্যের কারণে বাল্যবিয়ে বেড়েছে। এটি নিয়ে নতুন করে ভাবার সময় এসেছে।

সচেতন নাগরিকরা জানিয়েছেন, বাল্যবিয়ে বন্ধের জন্য আইন প্রয়োগের সঙ্গে সঙ্গে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য শহর থেকে প্রত্যন্ত গ্রাম পর্যন্ত বিভিন্ন পর্যায়ের অভিভাবক ও কিশোরীদের নিয়ে উঠান বৈঠক করতে হবে। বাল্যবিয়ের নেতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরতে হবে। সরকারিভাবে বিভিন্ন উদ্যোগ নিতে হবে।

জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান বলেন, জেলার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হাজিরা খাতাসহ শিক্ষকরা বিভিন্নভাবে করোনাকালীন সময়ে বাল্যবিয়ের তথ্য সংগ্রহ করেছেন। শিক্ষকদের তথ্য অনুযায়ী, ৫২২ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তিন হাজার ১৭৮ শিক্ষার্থী বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে। ভবিষ্যতে বাল্যবিয়ে থেকে শিক্ষার্থীদের রক্ষা করতে আমরা নানা উদ্যোগ নিয়েছি।

জেলা রেজিস্ট্রার মনিরুল হাসান বলেন, যারা রেজিস্ট্রার কাজি; তারা বিয়ে পড়ানোর আগে বয়স প্রমাণের বৈধ কাগজপত্র দেখে বিয়ে পড়ান। রেজিস্ট্রার কাজিদের বাল্যবিয়ে পড়ানোর সুযোগ নেই। এরপরও যদি কোনও কাজি অনৈতিক সুবিধা নিয়ে বাল্যবিয়ে নিবন্ধন করেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান বলেন, বাল্যবিয়ের বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। ইতোমধ্যে সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বাল্যবিয়ে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছি। যেখানেই বাল্যবিয়ের খবর পাবেন সেখানে গিয়ে বন্ধ করবেন নির্বাহী কর্মকর্তারা। এ ছাড়া রেজিস্ট্রার ও স্থানীয় ইমামদের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। যদি কোনও নিকাহ রেজিস্ট্রার বাল্যবিয়ে পড়ান তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Print Friendly, PDF & Email

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
themesbazarhaor24net
© All rights reserved © 2019-2024 haor24.net
Theme Download From ThemesBazar.Com
error: Content is protected !!