স্টাফ রিপোর্টার::
সুনামগঞ্জে বিজয়া দশমী ও প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ‘শারদীয় দুর্গাপূজা’ শেষ হয়েছে। শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) বিকালে শহরের রিভাউ ভিউ এলাকায় সুরমা নদীতে ভক্তরা বিদায় জানান দুর্গতিনাশিনী দেবী দুর্গাকে।
এসময় শতাধিক ভক্ত ভিড় করেন এই এলাকায়। তবে, করোনার কারণে এবার বিজয়া দশমীতে শোভাযাত্রা হয় নি। এছাড়াও জেলার বিভিন্ন স্থানে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিমা বিসর্জন দিয়েছেন সনাতন ধর্মাবলম্বিরা।
চন্ডীপাঠ, বোধন ও অধিবাসের মধ্যে দিয়ে গত ১১ অক্টোবর শুরু হয় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব। শান্তিপূর্ণভাবে ও সম্প্রীতির সঙ্গে পাঁচ দিনব্যাপী এ উৎসবে ব্যস্ত সময় পার করছেন সুনামগঞ্জের সনাতনধর্মালম্বী লোকজন।
গতকাল দিনব্যাপী বিভিন্ন পূজাম-পে সারাবিশ্বের কল্যাণ এবং করোনামুক্ত বিশ্ব কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। সকালে বিহিত পূজার মাধ্যমে শুরু হয় নবমী পূজার আনুষ্ঠানিকতা। পুরাণ মতে, এই তিথিতে দেবী দুর্গার আশীর্বাদ নিয়ে লঙ্কার রাজা রাবণকে বধ করেছিলেন দশরথ পুত্র শ্রীরামচন্দ্র।
জেলার ৪১৯টি ম-পে পূজা-অর্চনার মধ্যদিয়ে ভক্তরা দেবী দূর্গার প্রতি প্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন ভক্তরা। এর মধ্যে সুনামগঞ্জ পৌর শহরে হয়েছে ২৪টি ম-পে দুর্গোৎসব।
রিভার ভিউ এলাকায় প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, শারদীয় দুর্গোৎসবের একদম শেষ পর্যায়ে চলে এসেছে। আমাদের সুনামগঞ্জ অতিতেও মানুষে মানুষে শান্তি সম্প্রীতির মেলবন্ধন ছিলো। এবার দেশের কোনো কোনো জায়গায় অপ্রীতিকর ঘটনা হলেও আমাদের সুনামগঞ্জ বিন্দু মাত্র কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। এখানে হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সকলে মিলেমিশে একেঅপরের পরিপূরক হিসেবে বসবাস করি। যে সম্প্রীতির বন্ধন আগে ছিলো বর্তমানেও আছে এবং ভবিষতেও থাকবে।