হাওর ডেস্ক ::
গাজীপুরের কাশিমপুর বাজার এলাকায় মন্দিরে হামলা ও প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় জামায়াতের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় পৃথক তিনটি মামলায় এখন পর্যন্ত জামায়াতের ৩২ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত ১৪ অক্টোবর কাশিমপুর বাজার এলাকায় তিনটি মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়। ওই রাতেই কাশিমপুর বাজারের রাধাগোবিন্দ মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি বাবুল রুদ্র, কাশিমপুর পশ্চিমপাড়া এলাকার পারিবারিক মন্দির পরিচালনাকারী সুবল চন্দ্র দাস ও পালপাড়া নামাবাজার এলাকার সর্বজনীন পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি পরিমল পাল বাদী হয়ে আলাদা তিনটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় এজাহারনামীয় ২০ জন ও অজ্ঞাত ১০০-১৫০ জনকে আসামি করা হয়।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ কমিশনার জাকির হাসান জানান, জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের নির্দেশ ও প্রলোভনে ১০০ থেকে ১৫০ জন মিছিল নিয়ে কাশিমপুর বাজার এলাকায় তিনটি মন্দিরে হামলা ও প্রতিমা ভাঙচুর করেন। সেসময় ঘটনাস্থল থেকে ২০ জনকে আটক করা হয়। পরবর্তীতে এ ঘটনায় আলাদা তিনটি মামলা দায়ের করা হয়। পরে গ্রেপ্তারকৃতদের দুই দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে উপপুলিশ কমিশনার জানান, জামায়াতের নেতাদের নির্দেশে তারা সেখানে জড়ো হন। তারা মিছিল বের করে মন্দিরে হামলা ও ভাঙচুর চালান। হামলার ঘটনায় জামায়াতের কোনাবাড়ি থানা আমির কবির হোসেন ও স্থানীয় ওয়ার্ড ইউনিটের এক সভাপতিকে গ্রেপ্তার করেছে।
এছাড়া গোপন বৈঠক করার সময় আরও ১০ জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে তাদের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।