শাল্লা প্রতিনিধিঃ
উপজেলার আটগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মামুন আল কাউসার নিজ ফেসবুক একাউন্টে পোস্ট দেন “বাঙ্গালী জাতির গৌরব মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে ভিডিও কলে কথা বলেন আমাদের জনন্দিত উপজেলা চেয়ারম্যান চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ”। এসময় উপজেলা চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও কলে কথা বলার একটি এডিট ছবিও প্রকাশ করেন। এর একটি স্কীন সট আমাদের হাতে এসেছে। মুহুর্তের মধ্যে এই ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে পড়ে। উপজেলা ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা অতি উৎসাহে নিজ নিজ ফেসবুকে পোস্ট দিতে থাকেন। এই পোস্ট দেখে অনেকেই পক্ষে বিপক্ষে মন্তব্য করতে থাকেন। এক পর্যায়ে বিরুপপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। তবে মামুন আল কাওসারের দাবী ফেসবুকে ছবিটি পেয়ে তিনি অতি উৎসাহে আনন্দের সহিত নিজ ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন। এসময় সত্য মিথ্যার কোনো কিছুই যাচাই করেননি তিনি। পরে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদের নজরে আসলে তিনি নিজেই বাদী হয়ে রবিবার শাল্লা থানায় একটি জিডি (সাধারণ ডায়েরি) করেন। যার জিডি নং ২৬১।
জিডিতে তিনি উল্লেখ করেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে প্রধানমন্ত্রীর ছবির সঙ্গে তার নিজের ছবি বসিয়ে কে বা কারা ভিডিও কনফারেন্সের ছবি প্রচার করেছে। উক্ত ছবি প্রচার হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই সেটি ভাইরাল হয়ে যায়।
এ বিষয় টি উনার নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গে তিনি এই জিডি করেছেন বলে দলের একাধিক সুত্রে জানায়।
এনিয়ে শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আমিনুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ছবির সাথে উপজেলা চেয়ারম্যান আল আমিন চৌধুরীর ভূয়া ভিডিও কনফারেন্সের ছবি, কে বা কারা প্রচার করে এলাকায় বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে, এটি খুবই দুঃখ জনক। উক্ত অপরাধ জনিত কাজের সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনী আইনি ব্যবস্থা নিতেই তিনি জিডি করেন।
ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন ,জিডির সার্বিক বিষয় আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দেখা হচ্ছে বলে প্রতিবেদককে জানান।
এব্যপারে উপজেলা চেয়ারম্যান আল আমিন চৌধুরী বলেন, দলের সভাপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবির সঙ্গে আমার ছবি দিয়ে ভিডিও কনফারেন্সের একটি ছবি কে বা কারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করেছে যা সম্পুর্ন বানানোয়াট ও সাজানো ঘটনা। তিনি বলেন একটি মহল আমাকে বিভিন্ন ভাবে হেয় করাসহ আমার সুনাম ক্ষুন্ন করতেই এমনটি ঘটিয়েছে। এই ভূয়া ঘটনাটির নায়কদের খোঁজে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তিনি জিডি করেন বলে জানান ।