স্টাফ রিপোর্টার
আজীবন ত্যাগব্রতী বিপ্লবী, গণসংগীত শিল্পী, মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক এবং মরনোত্তর দেহদানকারী কমরেড শ্রীকান্ত দাশ’র প্রয়াণ দিবস আজ। ২০০৯ সালের ১৯ নভেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন। শ্রীকান্ত দাশের ১২তম প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে আজ শুক্রবার শাল্লায় স্মরণ সভায় আয়োজন করেছে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী শাল্লা উপজেলা শাখা।
এদিকে লন্ডনে (দুপুর ২.৩০টায়) বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৮টায় শ্রীকান্ত সংহতি পরিষদের আয়োজনে জুম প্লাটফর্মে স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হবে। স্মরণ সভায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি কমরেড মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, ঐক্য ন্যাপ সভাপতি পঙ্কজ ভট্টাচার্য, বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক জামসেদ আনোয়ার তপন। স্মরণ সভায় সভাপতিত্ব করবেন কমরেড অ্যাডভেকেট আবেদ আলী আবিদ।
কমরেড শ্রীকান্ত দাশের জন্ম একটি সমাজ-সচেতন অগ্রসর চিন্তার পরিবেশে। পিতার কাছ থেকে মূলত তাঁর সমাজতান্ত্রিক দর্শনের প্রতি আকৃষ্ট হওয়া। তারপর আমৃত্যু একটি শোষণহীন সমাজতান্ত্রিক সমাজ বিনির্মাণে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছেন প্রশ্নাতীত নিষ্ঠা ও সততার সাথে। কমিউনিস্ট পার্টির বিপ্লবী শৃঙ্খলা বহির্ভূত কোনো কিছুর সাথে আপোষ করেননি কখনো। শোষণ ও দারিদ্র -লাঞ্ছিত এই সমাজের বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন এক দ্রোহী সংশপ্তক। মানুষকে ভালোবাসার এক অমিত শক্তিতে বলীয়ান ছিলেন তিনি। এই ভালোবাসার জোরেই তিনি নিজ দেহ দান করে গেছেন চিকিৎসাশাস্ত্রের শিক্ষা ও গবেষণার কাজে। মুক্তিযুদ্ধে নিজ উপজেলার অপারেশন থেকে ভারতের শরণার্থী ক্যাম্প পর্যন্ত শরণার্থীদের সাহায্যে তাঁর কণ্ঠ থেমে থাকেনি। লিখে গিয়েছেন অর্ধশত গণসংগীতসহ, মুক্তিযুদ্ধের অনন্য দলিল ঐতিহাসিক নাটক “মুক্তিযুদ্ধে প্রত্যন্ত অঞ্চল“।
কমরেড শ্রীকান্ত দাশের জন্ম শাল্লা উপজেলার আঙ্গারুয়া গ্রামে ১৯২৪ সালের ৫ জুলাই। তাঁর পিতার যোগেন্দ্র কুমার দাশ এবং মাতার নাম জ্ঞানদায়িনী দাশ।