স্টাফ রিপোর্টার::
আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন না পাওয়ায় জণগণের জোরালো দাবির প্রেক্ষিতে সদর উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ভোটযুদ্ধে নেমেছিলেন জনগণ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান মঈন উল হক। ২৮ নভেম্বর রবিবার রাতে সদর উপজেলা অডিটরিয়াম থেকে প্রায় সাড়ে তিন শতাধিক বেশি ভোটে চেয়ারম্যান পদে মোটর সাইকেল প্রতীকে তাকে বিজয়ী ঘোষণা করেন উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা। ঘোষনার পর এই বিজয় ইউনিয়নের জনগণকে উৎসর্গ করে অতীতের মতো ইউনিয়নবাসীর সেবা করার অঙ্গিকার করেছেন তিনি। এদিকে মঈন উল হকের বিজয়ে ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামে আনন্দ মিছিল করছেন সাধারণ মানুষ। তিনি হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শীতেষ তালুকদার মঞ্জুকে পরাজিত করে বিজয়ী হয়েছেন।
এদিকে ২৮ নভেম্বর ভোটগ্রহণ শেষে ইউনিয়নের ৭টি কেন্দ্রের ফলাফলে মঈন উল হক এগিয়ে থাকলেও রহস্যজনক কারণে পৈন্দা ও ভৈষবেড় ভোট কেন্দ্রে ফলাফল ঘোষণা করতে বিলম্ব হয়। আওয়ামী লীগের প্রার্থীর এই দুটি নিজ কেন্দ্রে ফলাফল ঘোষণায় বিলম্ব হওয়ায় দুটি কেন্দ্রের আশপাশে জড়ো হোন সাধারণ জনতা। তারা ফলাফল ঘোষণার দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে সাধারণ মানুষজন, মিডিয়াকর্মীসহ সচেতন কয়েকজন জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে ফোন করে বিষয়টি অবগত করলে তারা দুটি কেন্দ্রে মোবাইল টহল পুলিশ পাঠিয়ে দ্রুত ফলাফল ঘোষণার নির্দেশ দেন। এর কিছুক্ষণ পরেই এই দুটি কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা করা হলে কেন্দ্র ঘোষিত ফলাফলে বিজয়ী হন মঈন উল হক। রাত ১১ টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
মো. মঈনুল হক বিশিষ্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা শান্তিপুর গ্রামের প্রয়াত আব্দুস সাত্তারের জ্যষ্ট সন্তান। তিনি সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। জয়নগরে মঈন উল হক কলেজের প্রতিষ্ঠাতাসহ এলাকা ও এলাকার বাইরে তিনি শিক্ষা, ধর্মীয় ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতাসহ নানাভাবে সহযোগিতা করে একজন দানশীল ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত তিনি।
বিজয়ের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় জনগণ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. মঈন উল হক বলেন, এই জয় আমি ইউনিয়নের সাধারণ মানুষদের উৎসর্গ করেছি। আমি অঙ্গিকার করছি অতীতের মতো সর্বস্তরের মানুষের প্রতি আমার সহায়তার হাত প্রসারিত থাকবে। বঞ্চিত মোহনপুর ইউনিয়নের নাগরিকদের নাগরিক সেবা উন্নয়নে এবং এলাকার অবকাঠামো উন্নয়নে আমি অক্লান্ত কাজ করে যাব।