1. haornews@gmail.com : admin :
  2. editor@haor24.net : Haor 24 : Haor 24
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:১৮ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::

টেকসই পাহাড়-পর্যটন নীতি জরুরি।। পাভেল পার্থ

  • আপডেট টাইম :: রবিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২১, ৩.৪৯ পিএম
  • ২৩৫ বার পড়া হয়েছে

পাহাড় ও পর্বতের সংজ্ঞায়ন নিয়ে ভৌগলিক, সাংস্কৃতিক, প্রাকৃতিক কী রাজনৈতিক তর্ক আছে। অনেকে বলে থাকেন পাহাড়ে চেয়ে পর্বত উঁচু এবং পর্বতের শীর্ষচূড়া বা সামিট পাহাড়ের চেয়ে সুস্পষ্টভাবে চিহ্নিত। বাংলাদেশে পর্বত, পাহাড় ও টিলা এরকম প্রধান তিনটি প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক বিন্যাসে মূলত ‘পাহাড়কেই’ পাঠ করা হয়। তাজিংডং, চিম্বুক, ডিম, সীতা, লালমাই, পাথারিয়া কিংবা সাজেক ‘পাহাড়’ হিসেবেই বহুল পরিচিত। আবার ‘পর্বত’ প্রত্যয়টির ব্যবহারও রাষ্ট্রীয়ভাবে রয়েছে। রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়িকে একত্রে ‘পার্বত্য জেলা’ বলা হয়, ‘পাহাড়ি জেলা’ নয়। যদিও ইংরজিতে ‘হিল’ মানে পাহাড় এবং ‘মাউন্টেন’ মানে পর্বত এরকমই আমরা জেনে অভ্যস্ত। যাহোক দেশের টিলা, পাহাড় কী পর্বত সকল বাস্তুসংস্থানকেই চলতি লেখায় ‘পাহাড়’ হিসেবে পাঠ করা হচ্ছে। পাহাড়ের সুরক্ষাপ্রশ্নে জাতিসংঘ ঘোষিত একটি আন্তর্জাতিক দিবস আছে। ২০০৩ সনে জাতিসংঘ প্রতি বছরের ১১ ডিসেম্বরকে ‘আন্তর্জাতিক পাহাড় দিবস’ ঘোষণা করে। ২০০৩ থেকে অনেক দেশ দিবসটি পালন করে আসছে। প্রতিবছরেই এ দিবসের একটি প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়। করোনাকালে এ বছরের পাহাড় দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘টেকসই পাহাড় পর্যটন’। তো এ বিষয়ে বাংলাদেশের ভাবনা কী? যে দেশে প্রতিদিন নির্দয়ভাবে পাহাড় কাটার খবরে গণমাধ্যম সয়লাব হয়ে থাকে। আবার অন্যদিকে ইউটিউব জুড়ে পাহাড়-পর্বতে ঘুরে বেড়ানো পর্যটকদের ভিডিও গুলো ‘ভাইরাল’ হয়ে ওঠে। আমাদের রাষ্ট্রীয় উন্নয়নচিন্তা কী পাহাড়বান্ধব না পাহাড়-বিমুখ? দেশের আঠারো কোটি মানুষের কাছে পাহাড় মানে কী? কিছু আদিবাসী সমাজসহ খুব কম কিছু মানুষের কাছে পাহাড় তাদের জন্মমাটি, পরিচিত বাস্তুতন্ত্র। এছাড়া দেশের গরিষ্ঠভাগ মানুষের কাছেই পাহাড় এক অদেখা, দুর্লংঘ্য, ভ্রমণস্থল কিংবা বাণিজ্যের নিশানা। তাইতো প্রশ্নহীনভাবে এখানে পাহাড়-টিলা কেটে পর্যটনকেন্দ্র, মাছের খামার কী বিশাল বাণিজ্যিক হোটেল গড়ে ওঠে। পাহাড় টুকরো টুকরো হয়ে নি:শেষ হয়ে যায় ইটের ভাটা কী সিরামিক কারখানায়। কিংবা কিছুক্ষণের জন্য বেড়াতে আসা মানুষ মুহুর্তে পাহাড়কে করে তুলে প্লাস্টিক বর্জ্যরে ভাগাড় কিংবা চুরমার করে দেয় পাহাড়ের সামাজিক ও প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য। এ কারণেই আমাদের এখনো ‘জাতীয় পাহাড় ভাবনা’ কিংবা ‘জাতীয় পাহাড় নীতিমালা’ গড়ে ওঠেনি। এর ভেতর ‘টেকসই পাহাড় পর্যটন’ নিয়ে আলাপ বহু অমীমাংসিত তর্ককে সামনে টেনে আনে। এসব তর্ক আর প্রশ্নের যুতসই উত্তর আমাদের খুঁজতে হবে। পাহাড়ের সুরক্ষা আর পাহাড়বান্ধব পর্যটন বিষয়ে টেকসই পরিকল্পনার ক্ষেত্রে অমীমাংসিত প্রশ্নের নিরপেক্ষ উত্তর বাংলাদেশের সামনে নানা সম্ভাবনার সূত্রকে হাজির করতে পারে। যার সামগ্রিক সুফল আমাদের পাহাড়ি বাস্তুতন্ত্র ও এখানকার আদিজনগণের সামাজিক মর্যাদা সুরক্ষা, দায়িত্বশীলয় পর্যটক তৈরি, কী জাতীয় অর্থনীতি বিকাশে ভূমিকা রাখতে পারে।

নিহত পাহাড় বনাম চকচকে চিনামাটির বাসন

ঢাকার কাঁটাবন, সাইন্সল্যাবরেটরী, হাতিরপুল কি বাংলামোটরের চিনামাটির বাসনকোসন আর টাইলসের দোকানগুলোর সামনে দাঁড়ালে আত্মা ছ্যাঁত করে ওঠে। ঝকঝকে বাহারিসব চিনামাটির বাসনকোসন আর টাইলসের ভেতর থেকে ভেসে আসে দেশের উত্তর-পূর্ব সীমান্ত পাহাড় টিলার রক্তাক্ত করুণ বিলাপ। জামালপুরের বকশীগঞ্জ, শেরপুরের ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী, ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট ও নেত্রকোণার দূর্গাপুরের সীমান্তঅঞ্চলের পাহাড়ি টিলা ফালি ফালি করে সাদামাটি (চিনামাটি) তুলেই গত এক যুগের ভেতর চাঙ্গা হয়েছে চকচকে ‘সিরামিক শিল্প’। শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার সমশ্চূড়ায় ২০০১ থেকে সাদামাটি উত্তোলন শুরু হয়। পিপলস সিরামিকস, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিকু, সাংহাই, হোয়াইতাই, মুন্নু সিরামিকস, মধুমিতা সিরামিকস, চায়না-বাংলা কোম্পানি, সুইটি এন্টারপ্রাইজ, ফু-ওয়াং কোম্পানি পাহাড়ি টিলা চুরমার শুরু করে। ভেঙ্গে পড়ে পাহাড়ি টিলার বাস্তুতন্ত্র। একইভাবে নেত্রকোণার দূর্গাপুরের পাহাড় খনন করে চিনামাটি উত্তোলন শুরু করে তাজমা সিরামিক, ইনসুলেটর অ্যান্ড স্যানিটারি ওয়্যার ফ্যাক্টরি, পিপলস সিরামিক, জাকের রিফ্যাক্টরি অ্যান্ড টাইলস এন্টারপ্রাইজ, মোমেনশাহী সিরামিক অ্যান্ড গ্লাস ইন্ডাস্ট্রিজ, চায়না বাংলা সিরামিক ইন্ড্রাস্ট্রিজ, ফু-ওয়াং সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ, জার্ডিন ইন্টারন্যাশনাল, বেঙ্গল ফাইন সিরামিক এবং মেসার্স এস আর ইন্টারন্যাশনাল নামের নানা কোম্পানি। চিনামাটির নামে মেঘালয় সীমান্তের এসব পাহাড় টিলা খননের ফলে কেবল প্রাণবৈচিত্র্য নয়, স্থানীয় কোচ, হাজং, মান্দি জনগোষ্ঠীর জীবনজীবিকাও আজ বিপন্ন। একইসাথে এই অঞ্চল এশিয় হাতির একটি প্রাচীন বিচরণস্থল। আজ হাতির বিচরণস্থল বিনষ্ট হওয়ায় এবং মানুষ হাতির বিচরণস্থল দখল করায় বসতি হারানো হাতি এবং একইসাথে দখলদার মানুষ উভয়ের বেঁচে থাকাই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠেছে। কিন্তু আমরা কী দেখি? এই পাহাড় হারানো অঞ্চলে গজনী, সমশ্চচূড়া, বকশীগঞ্জ, দূর্গাপুরে দলে দলে মানুষ যাচ্ছে ঘুরতে। এই প্রজন্মের সত্যিকারের পর্যটক প্রাকৃতিক পাহাড়ি বাস্তুসংস্থানের সাথে পরিচিত হতে পারছে কী? বাংলাদেশকে গভীরভাবে জানতে আগ্রহী নতুন প্রজন্ম কী জানে পাহাড় কাটা বন্ধে রাষ্ট্র নানা আইন ও নিষেধাজ্ঞা তৈরি করেছে। বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ ( ১৯৯৫ সনের ১নং আইন) এর ধারা ৪(১) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে মহাপরিচালক দপ্তর হতে ২০০৭ সালের ১০ জুলাই ‘পাহাড়, টিলা, ঝর্ণা ও বন এলাকায় খনন ও বালি উত্তোলনে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়’ (সূত্র: এস, আর, ও নং ১৭৬ আইন/২০০৭)। দেশের উত্তর-পূর্বের সীমান্তবর্তী টিলাবন থেকে সাদামাটি ও পাথর উত্তোলন বিষয়ক সুপারিশমালা তৈরির জন্য ১০ জুন ২০০৮ সালে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করে। ২০১০ সালের পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ও পাহাড় কর্তন বিষয়ক সরকারি নিষেধাজ্ঞায় দেশের সকল অঞ্চলের পাহাড় কাটা, বিনষ্ট করা ও ক্ষতিগ্রস্থ করা নিষিদ্ধ। হয়তো নতুন প্রজন্মের সবার কাছে এসব আইনের হদিশ নেই, কিন্তু তারপরও এসব অঞ্চলের বিমর্ষ প্রকৃতিকে ‘সৌন্দর্য’ হিসেবে তারা নিজেদের পর্যটন-ভিডিওতে তুলে ধরছেন। যদি আমরা সত্যিকারের টেকসই পাহাড়বান্ধব পর্যটন বিকশিত করতে চাই তবে পাহাড় নিয়ে ঘটতে থাকা সকল অন্যায় এবং পাহাড় সুরক্ষাপ্রশ্নে আইনের বিষয়গুলোও পর্যটন-ভিডিওতে তুলে ধরা জরুরি। কারণ এর ভেতর দিয়ে নতুন প্রজন্মের পর্যটকদের মনে পাহাড়ের প্রতি দায়বদ্ধ ভালবাসা তৈরি হতে পারে। হয়তো এই প্রজন্ম বাংলাদেশের দায়িত্ব নিলে পাহাড় টিলা ঝকঝকে চিনামাটির বাসন বাণিজ্য হয়ে ওঠবে না। দৃঢ় হবে টেকসই পাহাড়-পর্যটন ও অর্থনীতি।

পাহাড় কাটা থামছেই না

নিদারুণভাবে একটির পর একটি পাহাড় বিপর্যয় হলেও এর কোনো সুরাহা হয়নি আজো। অবকাঠামো উন্নয়ন, সড়ক নির্মাণ, রিয়েল এস্টেট বাণিজ্য, কর্পোরেট কৃষি ও তথাকথিত উন্নয়নের নামে একটির পর একটি পাহাড় প্রশ্নহীন ভাবে খুন করা হয়। ২০১৭ সনের ১২ জুন মধ্যরাত থেকে ১৩ জুন ভোরে রাঙামাটি, বান্দরবান ও চট্টগ্রামে পাহাড় ধসে প্রায় ১৩৭ জন মানুষ নিহত হয়েছে। ২০১৫ সনে চট্টগ্রাম জেলায় পাহাড় ধসে নিহত হন ৬ জন, ২০১৪ সনে ১ জন, ২০১৩ সনে ২ জন, ২০১২ সনে ২৮ জন, ২০১১ সনে ১৭ জন, ২০১০ ও ২০০৯ সনে ৩ জন, ২০০৮ সনে ১৪ জন। ১১ জুন ২০০৭ সালে অবিরাম বর্ষণে চট্টগ্রামের সেনানিবাস এলাকার লেবুবাগান, কুসুমবাগ, বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, বান্দরবানে পাহাড় ধ্বসে নিহত হয় ১৩০ এরও বেশী পরিবেশউদ্বাস্তু মানুষ। ভূতাত্ত্বিকভাবে বাংলাদেশের এসব পাহাড়শ্রেণির মাটির গঠন ও বুননের বৈশিষ্ট্য এমনই যে এসব পাহাড় ৪৫ ডিগ্রির চেয়ে বেশি কোণে এলোপাথারি কাটা হলে এবং পাহাড়ের উপরিভাগের বৃক্ষআচ্ছাদন সরে গেলে বৃষ্টির পানিতে ভিজতে ভিজতে এসব পাহাড় ধসে পড়ে। দেশে ইমারত নির্মাণ আইনে পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ সাত বছর কারাদন্ড এবং ন্যূনতম ৫০ হাজার টাকা জরিমানার কথা বলা আছে। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) জানিয়েছিল ১৯৯৪ থেকে ২০০২ পর্যন্ত পাহাড় কাটা সংক্রান্ত ২৮টি মামলার ক্ষেত্রে ১৮টিতে সাজা হয়। একইভাবে সিলেট বিভাগের সিলেট, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জের পাহাড়ি টিলাও আজ নানাভাবে দখল করে কাটা হয়েছে। গড়ে তোলা হয়েছে বিলাসবহুলসব হোটেল ও রিসোর্ট কিংবা নানারকম আবাসনপ্রকল্প। সমকালে দেশের একটা বড় অংশের পর্যটন এবং বিনোদন ভ্রমণ শুরু হয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম ও সিলেটের পাহাড়ি এলাকায়। রেমাক্রী, তাজিংডং, চিম্বুক, ডিমপাহাড়, সাফাখুম, দেবতা পাহাড়, ক্রেওক্রাডং, বগালেক, সাজেক কী সীতাকুন্ডের পাহাড়ে ভ্রমণের অজ¯্র ভিডিও আছে ইউটিউবে। বোঝা যায় পাহাড়ে পর্যটনের একটা দ্রুত বিকাশ ঘটেছে, কিন্তু কোনো সুনির্দিষ্ট সুরক্ষা নীতিমালা বা প্রাথমিক কোনো পাহাড়ি-পর্যটন শিক্ষা ছাড়াই। এমনকি যারা ¯্রফে মুনাফা বাড়াতে এসব পাহাড়ে অপরিকল্পিতভাবে নানা স্থাপনা গড়ে তুলছেন তা স্থানীয় প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যর জন্য কতোটা ঝুঁকিপূর্ণ এসব মূল্যায়ণও আমরা করিনি। পাহাড়ের বাস্তুতন্ত্র এবং আদি সাংস্কৃতিক জীবন কিংবা টেকসই পাহাড়-পর্যটনের প্রসঙ্গকে বিবেচনা না করেই বান্দরবানের চিম্বুকে শোংনামহুং পাহাড়ে প্রশ্নহীনভাবে বিলাসবহুল ম্যারিয়ট হোটেল নির্মিত হচ্ছে।

টেকসই পাহাড়-পর্যটন নীতি জরুরি

নয়াউদারবাদী বাণিজ্যিক মনস্তত্ব পাহাড়কে না বুঝলেও এদেশের আদিবাসী জনগণ অনেকেই নিজেদের পাহাড়ের সন্তান মনে করেন। বিশেষ করে বিভিন্ন আদিবাসী ভাষায় পাহাড়ের নামকরণের ইতিহাসে বিষয়টি স্পষ্ট হয়। মারমা ভাষায় তজিংডং বা ত-জিং-টং মানে সবুজ পাহাড়, ক্যাক-ক্রো-টং (ক্রেওক্রাডং) মানে পাহাড়চূড়া। ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড় সমূহের যে তালিকা তৈরী করে তাতে দেখা যায় পার্বত্য চট্টগ্রামের ১১টি রেঞ্জের ২৯টি পাহাড়ের ভেতর ৫টি রেঞ্জের ৯টি পাহাড়ের নামই পাংখোয়া ভাষার। রাঙামাটি জেলার বরকল উপজেলার একটি পাহাড়ের নাম থাংনাং। থাংনাং নামের এক পাহাড়ি পোকার নামে পাংখোয়ারা এই পাহাড়ের নাম রেখেছেন। সাজেক উপত্যকার বড় পাহাড়ের নাম সাজেক থ্লাং, পাংখোয়া ভাষায় এর অর্থ অপূর্ব সুন্দর পাহাড়। আবার হাতির নামেও গড়ে উঠেছে অনেক পাহাড়ি এলাকা। শেরপুরের ডালু কোচেরা পাহাড়ি টিলার নাম রেখেছেন হাতীবান্ধা, হাতীপাগার। ¤্রাে ভাষায় শোংনাম হুং মানে ভূতের পাহাড়, চিমবক ¤্রাের নামে চিম্বুক পাহাড়। তো আজকে আমরা যখন টেকসই পাহাড়-পর্যটনের বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করবো, প্রথমেই আমাদের নতজানু হওয়া জরুরি সেইসব জীবনধারার প্রতি যারা পাহাড় আগলে জীবন দিয়ে পাহাড়কে সুরক্ষা করে বাঁচেন। পাহাড়ের বাস্তুতন্ত্র, প্রাকৃতিক ও সাংষ্কৃতিক বৈচিত্র্য এবং পাহাড় সুরক্ষায় বিদ্যমান রাষ্ট্রীয় নীতিকে বিশ্লেষণ করে পাহাড়বান্ধব পর্যটন বিকশিত করা জরুরি। সকলের অংশগ্রহণে ‘জাতীয় পাহাড় সুরক্ষা নীতি’ গ্রহণ ছাড়া কোনোভাবেই এই টেকসই পাহাড়-পর্যটন সম্ভব নয়।
## গবেষক ও লেখক। ই-মেইল:animistbangla@gmail.com

Print Friendly, PDF & Email

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
themesbazarhaor24net
© All rights reserved © 2019-2024 haor24.net
Theme Download From ThemesBazar.Com
error: Content is protected !!