পলি রায়:
করোনাকালে এলাকার মানুষকে পর্যটন আনন্দ দিতে জমি ভাড়া নিয়ে ফুলের বাগানের সমন্বয়ে মওসুমি পর্যটন কেন্দ্র করেছেন সুনামগঞ্জ শহরতলির লালপুর গ্রামের কয়েকজন যুবক। ফ্লাওয়ার লেক নাম দিয়ে গত সপ্তাহ থেকে তারা পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করেছেন। পর্যটক টানতে করেছেন তোড়ণ নির্মাণ। আকর্ষণীয় বাশের সেতু, ছনের ঘর, নৌকা, দোলনাসহ নানা কিছু। প্রতিদিনই ছুটছেন সেখানে আনন্দ খুজে ফেরা মানুষজন।
লালপুর গ্রামের মোহাম্মদ আবু বকর, মো. রুবেল, রতন মিয়া, মো. আব্দুর রশিদ, মো. আশরাফুল ও মো. শামীম মিলে ৬০ শতাংশ জমি ভাড়া নিয়েছেন সুনামগঞ্জ-বিশ্বম্ভরপুর সড়কের লালপুর গজারিয়া সেতুর উত্তর-পূর্বপাশে। সেখানে পরিকল্পিতভাবে ফলিয়েছেন সূর্যমুখি, গাদা, ডালিয়া, কুসুমসহ নানা প্রজাতির ফুল। সেই ফুলগুলো কলি থেকে ফুল হয়ে বেরিয়েছে। নান রঙের ফুলগুলো দোলছে দখিনা হাওয়ায়। লাভ সাইন দিয়ে সাজিয়েছেন বাগান। লেকে করেছেন আকর্ষণীয় বাশের সেতু। বাগানে ডুকতে হলে এই দৃষ্টিনন্দন সেতু দিয়েই প্রবেশ করতে হয়। লেকে নৌকা, ড্রাম রাখা হয়েছে ভাসমান আনন্দের জন্য। তীরে রয়েছে দোলনা। সেখানে দোলে দোলে আনন্দে মাতছেন বিভিন্ন বয়সের নারী পুরুষ। স্বজনদের হাত ধরে শিশুরা গিয়েও ফুলের সঙ্গে খেলছে।
ফ্লাওয়ার লেকের সংশ্লিষ্টরা জানান, করোনাকালে মানুষের জীবন যাপন বিপর্যস্ত। মানুষ বাইরে বেরুতে পারছেনা। হাপিয়ে ওঠছে। এই অবস্থায় নিজ অঞ্চলের মানুষকে সহজে পর্যটন আনন্দ দিতে তারা প্রায় দুই লক্ষ টাকা খরচ করে তিন মাসের জন্য এই জমি ভাড়া নিয়ে মওসুমি ফুলের বাগান করেছেন। ফুলকে সামনে রেখে সজিয়েছেন পর্যটন পরিকল্পনা।
ফ্লাওয়ার লেকে ২০ টাকা টিকেট দিয়ে ডুকতে হয়। বাগানের ভিতরে বসে চা পানের ব্যবস্থাও রেখেছেন। ফুলের গন্ধে ধুমায়িত চায়ের কাপে অনেককেই চুমো দিতে দেখা যায়। সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত বাগান দর্শণার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকে।
বাগানের উদ্যোক্ত মো. শামীম বলেন, করোনায় আমাদের ব্যবসাও বন্ধ। মানুষকে আনন্দ দিতে এই মওসুমি পর্যটন ব্যবসার কথা চিন্তা করি। কারণ মানুষ দিন শেষে পরিবার নিয়ে একান্তে আনন্দে কিছুটা সময় কাটাতে চায়। বাড়ির পাশে এমন ব্যবস্থা হলে মানুষ খুশি। পর্যটন প্রিয় মানুষের কথা চিন্তা করে আমরা সাময়িক এই পর্যটন কেন্দ্র করেছি। মানুষ আগ্রহী হলে আমরা আগামীতে স্থায়ী পর্যটন কেন্দ্র করার কথা ভাবছি। তিনি ফ্লাওয়ার লেক ঘুরার জন্য দর্শনার্থীদের আহ্বান জানান।