বিশেষ প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জের হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের ১২০ কোটি টাকার কাজে সরকারি দলের সংসদ সদস্য ও তাদের নেতাকর্মীদের দিয়ে পিআইসি (প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি) গঠন করায় হাওরের বাঁধের কাজে অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা হচ্ছে বলে সাংবাদিক সম্মেলনে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষক দল সুনামগঞ্জ জেলা শাখা। বৃহষ্পতিবার দুপুরে শহরের পুরাতন বাসস্টেশনে জেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এসব কথা জানান জেলা জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সভাপতি মো. আনিসুল হক। হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণে গৃহিত কাবিটা নীতিমালার দুর্বলতা দূর করে প্রকৃত কৃষকদের নেতৃত্বে পিআইসি গঠন করে সঠিক নিয়মে দ্রুত বাঁধের কাজ শেষ করার দাবি জানানো হয়।
জেলা কৃষক দলের সভাপতি আনিসুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম নূরুল, কৃষকদলের সদস্যসচিব আব্দুল অদুদ, জেলা বিএনপির দফতর সম্পাদক বাকের আহমদ প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে আরো জানানো হয়, সরকার হাওরের কৃষকের কথা বিবেচনা করে প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ দিলেও এই টাকা লোপাট হয়ে যাচ্ছে। সরকার চলতি বছরও জেলার ৫৩২ কি.মি. ফসল রক্ষা বাধ নির্মাণে ৭২৪টি প্রকল্প গ্রহণ করেছে। গত ১৫ ডিসেম্বর কাজ শুরু করার কথা থাকলেও দুর্নীতি, অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার কারণে কাজ শুরু হয় বিলম্বে। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি একারণে নির্ধারিত দিনে বাঁধের কাজ শেষ করা সম্ভব হয়নি। মাত্র ৫০-৬০ ভাগ বাধের কাজ শেষ হয়েছে। তাই কৃষকরা তাদের একমাত্র বোরো ফসল গোলায় তোলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন। বেশির ভাগ বাঁধের কাজ মজবুত হয়নি, দুর্বাঘাস লাগানো হয়নি, উচ্চতা অনুযায়ী বাধের স্লোপ দেওয়া হয় নি, গোড়া থেকে মাটি উত্তোলন, অক্ষত প্রকল্পে বিপুল বরাদ্দসহ নানাভাবে দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা রয়েছে বলে লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী আগাম বন্যার আশঙ্কায় আছেন কৃষকরা। তাই দ্রুত যথা নিয়মে হাওরের একমাত্র ফসল রক্ষার বাধ সম্পন্ন করার দাবি জানান নেতৃবৃন্দ।